সমস্ত জল্পনার অবসান। দ্বিতীয় কেন্দ্র হিসেবে কেরালার ওয়েনাড়কেই বেছে নিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যন্টনি জানিয়েছেন, "দুটি আসন থেকে ভোটে লড়ার ব্যাপারে রাহুলজি তাঁর সম্মতির কথা জানিয়েছেন। আমি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে কেরালার ওয়েনাড় থেকেও তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।"
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
আমেথি থেকে জেতার ব্যাপারে কি আত্মবিশ্বাসী নন রাহুল? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরে দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন "মোদীজি গুজরাট ছেড়ে বারাণসীতে গেলেন কেন? এগুলো ছেলেমানুষি কথাবার্তা। স্মৃতি ইরানি এবার হারের হ্যাটট্রিক করবেন।"
উত্তর কেরেলার ওয়েনাড় আসনটি ডিলিমিটেশনের পর তৈরি হয় ২০০৯ সালে। এখানকার জনসংখ্যার একটা বড় অংশই আদিবাসী। এই আসনটিকে কংগ্রেসের পক্ষে নিরাপদ আসন বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগের দুবারের ভোটেই এখান থেকে জিতেছিলেন কংগ্রেস এমআই শানবাস। তিনি গত বছর মারা যান। তবে ২০১৪ সালের ভোটে তাঁর মার্জিন কমেছিল অনেকটাই।
দ্বিতীয় আসন হিসেবে রাহুল গান্ধী কর্নাটক থেকে লড়বেন, এমন একটা গুজব জোরদার ছিল। সে রাজ্যে জেডিএস কংগ্রেস জোট বিজেপিকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলতে চলেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেরালা কংগ্রেসের অনুরোধে ওয়েনাড় থেকেই লড়ার সিদ্ধান্ত নিলেন রাহুল।
ওয়েনাড় থেকে রাহুলকে ভোটে দাঁড় করানোর পিছনে কংগ্রেসের অঙ্ক স্পষ্ট। তারা রাহুল গান্ধীকে সারা ভারতের নেতা হিসেবে দেখাতে চায়। একই সঙ্গে এটাও দেখাতে চায় যে রাহুলের পিছনে সমস্ত সম্প্রদায়েরই সমর্থন রয়েছে। এর আরও একটা তাৎপর্য রয়েছে। এখানে কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এলডিএফের, বিজেপির নয়। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে যে সব কথা বলতে তিনি অভ্যস্ত, তার থেকে ভিন্ন কথা রাহুলকে এখানে বলতে হবে।
এদিকে রাহুল গান্ধী ওয়েনাড় থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ব্যাপারে টিপ্পনি কেটেছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কান্নুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, রাহুল কেন এ রাজ্য থেকে ভোটে দাঁড়াবেন সে ব্য়াপারে কংগ্রেসের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত। বিজয়ন বলেন, "উত্তর প্রদেশে নিঃসন্দেহে মূল রাজনৈতিক শক্তি সপা-বসপা জোট , অন্যদিকে কেরালায় মূল রাজনৈতিক শক্তি এলডিএফ। রাহুল এখানে বিজেপির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আসছেন না, আসছেন এলডিএফের সঙ্গে লড়াই করতে।"
এ আসন থেকে এলডিএফের প্রার্থী সিপিআই-য়ের পিপি সুনীর। অন্যদিকে রাজ্য়ে বিজেপি সহযোগী দল বিডিজেএস এখনও এ কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
ওয়েনাড়ে ভোট হবে তৃতীয় দফায়, অর্থাৎ ২৩ এপ্রিল। অন্যদিকে আমেথি কেন্দ্রের ভোট হবে পঞ্চম দফায় অর্থাৎ ৬ মে।