উড়িষ্যার নির্বাচনের আগে ধাক্কা কংগ্রেসের। পুরী কংগ্রেস প্রার্থী সুচরিতা মোহান্তি দলের বিরুদ্ধেই এবার সরব হয়েছেন। কংগ্রেস প্রার্থীর অভিযোগ নির্বাচনী প্রচারের জন্য দলের তরফে কোন রকম তহবিল বরাদ্দ করা হচ্ছে না। এই অভিযোগে নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
Advertisment
তিনি ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা জানিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপালকে একটি ইমেলও করেছেন। তাতে তিনি উল্লেখওকরেছেন তহবিল বরাদ্দ না করা হলে পুরীতে প্রচার করা সম্ভব হবে না। মোহান্তি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ করেছিলেন পুরী লোকসভা আসনের অধীনে থাকা সাতটি বিধানসভা আসনে বেশ কিছু প্রার্থী বদলের। কিন্তু তাও দলের তরফে বিবেচনা করা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, ওড়িশায় একই সঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচন। রাজ্য কংগ্রেসের একটি সূত্র জানিয়েছে, দলীয় হাইকমান্ডের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবে। ওড়িশায় মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৬ মে। পুরীতে বিজেপি প্রার্থী জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত পাত্র এবং মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বিজু জনতা দল (বিজেডি) প্রাক্তন মুম্বই পুলিশ কমিশনার অরূপ পট্টনায়েককে এবার প্রার্থী করেছেন। ২০১৯ সালে, কংগ্রেস পুরীতে ভোট মাত্র ৩.৯৪ % ভোট পায়। যা ২০১৪-এর তুলনায় অনেকটাই কম। মোহান্তি যিনি ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ১৮.৫০ % ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন।
মোহান্তি, যিনি স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা ব্রজ মোহন মোহান্তির কন্যা, গত সপ্তাহে তার প্রচার চালিয়ে যাওয়ার জন্য জনসাধারণের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নেওয়ার জন্য একটি "অনুদান অভিযান" শুরু করেন। মোহান্তি বলেন, 'যদিও কংগ্রেস এবং তার প্রার্থীদের জন্য জনসমর্থনের একটি ভিত্তি ছিল, তহবিলের সংকট তার প্রচারে একটি প্রধান বাধা'।
দলের ইন্দোরের প্রার্থী অক্ষয় কান্তি বম তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কয়েকদিন পরেই পুরীতে কংগ্রেসের এই সংকট দেখা দেয়। গত মাসে, কংগ্রেসের সুরাটের প্রার্থী নীলেশ কুম্ভনীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন, অন্যান্য সমস্ত প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিজেপি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সুরাট আসন জেতে।