এক সপ্তাহ আগেই লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত সাত দফায় নির্বাচন হবে দেশ জুড়ে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দল নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করতে শুরু করেছে। অন্যদিকে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তার উত্তরসূরি নির্বাচনে উঠে পড়ে লেগেছে কংগ্রেস এবং বিজেপি। শোনা যাচ্ছে কংগ্রেস নেতা দীগম্বর কামাত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য দিল্লি গিয়েছেন রবিবার। কংগ্রেস যদিও অস্বীকার করেছে সেরকম সম্ভাবনার কথা।
বেশ কিছু মাস ধরেই অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে ভুগছেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর। তবু তিনি যতদিন গোয়ায় থাকবেন, মন্ত্রিত্বে রাখা হবে তাঁকেই, এমনটা জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। শরিক দল গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সরদেশাইয়ের সঙ্গে দেখা করবে গোয়ার বিজেপি নেতৃত্ব। দলের পক্ষ থেকে লোবো জানিয়েছেন, “পারিক্কর জি আজ আছেন, কাল থাকবেন। আমরা প্রার্থনা করছি। কিন্তু আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা নেই। খুবই অসুস্থ উনি… যদি খুব খারাপ কিছু ঘটে যায়, বিজেপি থেকেই নতুন মুখ্যমন্ত্রী হবে”।
অন্যদিকে ছত্তিসগড়ে ৫টি সংরক্ষিত আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করল কংগ্রেস। সুরগুজা, বস্তার, রায়গড় এবং কাকেরে তফশিলি উপজাতি এবং জঞ্জগির চম্পার জন্য তফশিলি জাতির প্রার্থীর জন্য আসন বরাদ্দ রয়েছে।
পাঁচটির মধ্যে তিনটি কেন্দ্রে বর্তমান বিধায়কদেরই প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। চার দফায় বিধায়ক থাকা কংগ্রেস নেতা খেলসাই সিঙকে সুরগুজা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। আদিবাসী নেতা দীপক বাজি এবং লালজিত সিং রথিয়াকে যথাক্রমে চিত্রকোট এবং রায়গড় কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের হয়ে দাঁড় করানো হয়েছে।
কাকের থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে ব্রজেশ ঠাকুরকে। প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ পরাশ্রম ভরদ্বাজের ছেলে রবি ভরদ্বাজ প্রার্থী হয়েছেন। ছত্তিসগড়ের কংগ্রেস মুখপাত্র আর পি সিং জানিয়েছেন, "পাঁচজন প্রার্থীই নিজের নিজের এলাকায় যথেষ্ট কাজ করেছেন। বিধানসভায় যেভাবে বিজেপিতে ধ্বস নামিয়ে কংগ্রেস ক্ষমতায় এসেছিল, লোকসভাতেও তাই-ই হবে"।
নির্বাচনের আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন
শনিবার কেরালাতেও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। সেই তালিকায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম না থাকা নিয়ে আবার অসন্তোষ তৈরি হয়েছে একাংশের মধ্যে। লোকসভার ২০ টি আসনের মধ্যে কেরালায় ১২ টিতে প্রার্থী দিল কংগ্রেস। পাচ দফায় সাংসদ থাকা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কে ভি থমাস পেলেন না ভোটের টিকিট। দলের সিদ্ধান্তে রীতিমত শোকাহত থমাস।
তিনি জানিয়েছেন, "গতকাল দেড় ঘণ্টা ধরে এআইসিসি জেনারেল সেক্রেটারি মুকুল ওয়াশ্নিকের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়। তখন আমি এই সিদ্ধান্তের কথা জানতেই পারিনি, এটাই সবচেয়ে দুঃখজনক"। বললেন কে ভি থমাস। বললেন, "আমি জানিনা আমি কী দোষ করেছি? আমার ৭২ বছর বয়স, সেটা তো আমার দোষ নয়। কিমবা আমি সাতবার ভোটে জিতেছি, সেটাও আমার দোষ হতে পারে না"।
বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাও পুরো উড়িয়ে দিলেন না মন্ত্রী। বললেন, "এসব ভাবার সময় এখনও আসেনি। ভেবে সিদ্ধান্ত নেব"।