বিজেপি এই লোকসভায় মানুষের মন জিততে হাতিয়ার করেছে জাতীয়তাবাদের ইস্যুটিকেই। এবার গেরুয়া শিবিরকে টক্কর দিতে রবিবার কংগ্রেস প্রকাশ করল নিজেদের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। মূলত উত্তর বিভাগীয় সেনা কম্যান্ডারের অবসরপ্রাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই জাতীয় নিরাপত্তার ছক কষেছে কংগ্রেস।
তবে নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশের সময় কংগ্রেস বলেছিল ক্ষমতায় এলে দেশ থেকে তুলে নেওয়া হবে দেশদ্রোহ আইন। আফস্পা আইন সংস্কারের উল্লেখও ছিল ইস্তেহারে। নতুন এই রিপোর্টে এসবের উল্লেখ নেই।
দলের অভিজ্ঞ নেতা পি চিদম্বরম নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করে বলেছেন, "এখানে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে কংগ্রেসের কী ভাবনা"। "আইনি ভাবে নিরাপত্তা পরিষদ , ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসারের কাজ উল্লেখ করে দেওয়া হবে। সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি গঠন করা হবে।
আরও পড়ুন, রাহুলের মনোনয়নে স্থগিতাদেশ
নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশের সময়েও কংগ্রেস বলেছে বিজেপি আসলে বেকারত্বের মতো ইস্যুকে ঢাকার জন্য জাতীয়তাবাদের দিকে মানুষের দৃষ্টি ফেরানোর চেষ্টা করছে।
চাকরির আশ্বাস মানুষের ভোট টানতে সমস্যা করছে বলেই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কৌশল প্রকাশ করতে বাধ্য হল কংগ্রেস, এমন প্রশ্নের মুখে চিদম্বরম বললেন , "আদৌ না। নিরাপত্তার মতো অন্যান্য বিষয়ের দিকেও নিয়মিত নজর রাখছি আমরা"। "বেকারত্ব অন্যতম সমস্যা, তারপর রয়েছে কৃষি সংকট। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টির ওপরেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছি আমরা আমাদের ইস্তেহারে, কিন্তু একমাত্র সেটির ওপরেই দিয়েছি বলা ভুল", বললেন পি চিদম্বরম।
জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ওপর যথেষ্ট জোর দিয়েছে রাহুল গান্ধীর দল। তাদের কৌশল 'ওয়ান বর্ডার, ওয়ান ফোর্স'। ভারতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের কথাও উল্লেখ করেছে কংগ্রেস।
Read the full story in English