হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিহারে মহাজোটের দৌড় থামল ১১০-এ। তবে আরজেডি একক বৃহত্তম দল হিসাবে নিজের মাটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। মহাজোটের অন্য শরিক বামেরাও ভাল ফল করেছে। কিন্তু মহাজোটের ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন চুরমার করেছে কংগ্রেস, এটা বলাই যায়। মহাজোটের শরিকদের মধ্যে কংগ্রেসেরই স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে খারাপ। ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ১৯টিতে জিতেছে কংগ্রেস। স্ট্রাইক রেট ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে, জোটসঙ্গী তিন বাম দল ২৯টি আসনে লড়ে ১৬টিতে জিতেছে। স্ট্রাইক রেট প্রায় ৬০ শতাংশ।
অনেকেই বলছেন, কংগ্রেসকে ৭০টি আসন ছেড়ে নিজের পায়ে কুড়ুল মেরেছে আরজেডি। ১৪৪টি আসনে লড়ে ৭৫টি আসনে জিতেছে তেজস্বীরা। এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ছাড়া কোনও বড় নেতা প্রচারে আসেননি। সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কারা আসেননি কোনও প্রচার সভায়। নির্বাচনের মধ্যেই ছুটি কাটাতে শিমলায় চলে যান রাহুল। শীর্ষ নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু মাঠে-ময়দানে প্রচারে নামেননি। আরজেডির ঘাড়ে চেপেই ভোট বৈতরণী পার করতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস নেতারা। বেশ কিছু জেতা সিটও হাতছাড়া হয়েছে কংগ্রেসের। বেশি আসনের জন্য দর কষাকষি করে নিজের নাক তো কেটেইছে কংগ্রেস, একইসঙ্গে আরজেডির যাত্রাভঙ্গও করেছে। মহাজোটের সবচেয়ে দুর্বল অংশ হিসাবে প্রমাণতি হয়ে তেজস্বীর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে জল ঢেলেছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন এগজিট পোল-প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে উল্টে দিয়ে বিহারের মসনদে ফের নীতীশ
কংগ্রেসকে বেশি আসন ছাড়া নিয়ে ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছে সিপিএমএল সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, আরও আগে জোটধর্ম পালন করে আসনরফা করলে ভাল হত। আমার মতে, ৫০টি আসন বামেদের এবং ৫০টি কংগ্রেস লড়লে ভাল হত। স্বচ্ছ আসন সমঝোতা, সমবণ্টন হয়নি বলেই ফলাফলে প্রভাব পড়ল। তবে পাল্টা কংগ্রেসের দাবি, যে ৭০টি আসনে তারা লড়েছে তার বেশিরভাগই এনডিএ জোটের জেতা সিট। সেখানে তাই ফলও সেরকমই হয়েছে। কিছুটা ধাক্কা দিয়েছে এআইএমআইএম। মুসলিম ভোট কাটাকাটির অঙ্কেও ক্ষতি হয়েছে হাত শিবিরের। শরদ যাদবের মেয়ে সুহাসিনী এবং শত্রুঘ্ণ সিনহার ছেলে লাভ সিনহাও হেরেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কংগ্রেসকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে বেশি সংখ্যক আসন ছাড়তে গিয়ে বিরাট ভুল করেছেন তেজস্বী যাদব।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন