শীতলকুচিতে সিআরপিএফ-এর গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ৪ জনের। যা ঘিরে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। একে অপরকে নিশানা করছে তৃণমূল-বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিতেই হিংসা ছড়াচ্ছে বলে এদিন সকালে দাবি করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারিরও আবেদন জানান দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকলেন না দিলীপবাবু। প্রচারের এক ফাঁকে শীতলকুচিকাণ্ড উত্তাপন করে হুমকি সুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। বললেন, 'বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
Advertisment
এদিন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্ণ মিত্রের সমর্থনে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, 'ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। ১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
রাজ্য বিজেপি সভাপতির সাফ কথা, 'অভিযোগ করলেই দিদি বলেন দুষ্টু ছেলে। আরে বাবা এত দুষ্টু ছেলে এল কোথা থেকে? ওই দুষ্টু ছেলেরাই গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে। এই দুষ্টু ছেলেরা আর বাংলায় থাকবে না। সবে শুরু। যারা ভেবেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুকটা দেখোনার জন্য নিয়ে এসেছে, তারা বুঝে গিয়েছে ওই গুলির গরম কেমন। সারা বাংলায় এটা হবে।'
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলিতে প্রাণ য়ায় চার তৃণমূল কর্মীর। এরপরই কেন্দ্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কমিশনকে নিসানা করেন তৃণমূল নেত্রী। অমিত শাহর 'চক্রান্তে' এই ঘটনা বলে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর পদত্যাগও দাবি করেন। জানান, রবিবারই তুফানগঞ্জে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু অশান্তি এড়াতে পদক্ষেপ করে কমিশন। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীই ৭২ ঘন্টা কোচবিহার ঢুকতে পারবেন না। কমিশনের নির্দেশ অনুসারে এদিন তাঁর কোচবিহার সফর বাতিল করেন মমতা। জানান, তিন দিন বাদে চতুর্থ দিনে তুফানগঞ্জে যাবেন তিনি। গোটা ঘটনাকে 'বেনজির' ও 'গণহত্যা' বলে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন।
বিকেলেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন । ফলে বাধ্য হয়ে রবিবার ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অমিত শাহের নির্দেশেই এই ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন মমতা। এই পরিস্থিতিতেই বিস্ফোরক দিলীপ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
'বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি', হুঁশিয়ারি দিলীপের
মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিতেই হিংসা ছড়াচ্ছে বলে এদিন সকালে দাবি করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধ্জ্ঞা জারিরও আবেদন জানান দিলীপ ঘোষ।
Follow Us
শীতলকুচিতে সিআরপিএফ-এর গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ৪ জনের। যা ঘিরে উত্তাল রাজ্যরাজনীতি। একে অপরকে নিশানা করছে তৃণমূল-বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর উস্কানিতেই হিংসা ছড়াচ্ছে বলে এদিন সকালে দাবি করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারিরও আবেদন জানান দিলীপ ঘোষ। কিন্তু সেখানেই থেমে থাকলেন না দিলীপবাবু। প্রচারের এক ফাঁকে শীতলকুচিকাণ্ড উত্তাপন করে হুমকি সুর রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখে। বললেন, 'বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
এদিন বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পার্ণ মিত্রের সমর্থনে সভা করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানেই তিনি বলেন, 'ভয় দেখিয়ে রাজনীতি করার দিন চলে গিয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে মানুষ ভোট দিচ্ছেন। ১৭ তারিখ সকালেও লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিন। বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কেউ লাল চোখ দেখাতে পারবে না। আমরা আছি। আর যদি বাড়াবাড়ি করে, শীতলকুচিতে দেখেছেন কী হয়েছে। জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।'
রাজ্য বিজেপি সভাপতির সাফ কথা, 'অভিযোগ করলেই দিদি বলেন দুষ্টু ছেলে। আরে বাবা এত দুষ্টু ছেলে এল কোথা থেকে? ওই দুষ্টু ছেলেরাই গতকাল কোচবিহারের শীতলকুচিতে গুলি খেয়েছে। এই দুষ্টু ছেলেরা আর বাংলায় থাকবে না। সবে শুরু। যারা ভেবেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী বন্দুকটা দেখোনার জন্য নিয়ে এসেছে, তারা বুঝে গিয়েছে ওই গুলির গরম কেমন। সারা বাংলায় এটা হবে।'
উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলিতে প্রাণ য়ায় চার তৃণমূল কর্মীর। এরপরই কেন্দ্র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কমিশনকে নিসানা করেন তৃণমূল নেত্রী। অমিত শাহর 'চক্রান্তে' এই ঘটনা বলে তোপ দাগেন মমতা। তাঁর পদত্যাগও দাবি করেন। জানান, রবিবারই তুফানগঞ্জে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সন্ধ্যায় শিলিগুড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিন্তু অশান্তি এড়াতে পদক্ষেপ করে কমিশন। নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়, কোনও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীই ৭২ ঘন্টা কোচবিহার
ঢুকতে পারবেন না। কমিশনের নির্দেশ অনুসারে এদিন তাঁর কোচবিহার সফর বাতিল করেন মমতা। জানান, তিন দিন বাদে চতুর্থ দিনে তুফানগঞ্জে যাবেন তিনি। গোটা ঘটনাকে 'বেনজির' ও 'গণহত্যা' বলে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন।
বিকেলেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন । ফলে বাধ্য হয়ে রবিবার ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অমিত শাহের নির্দেশেই এই ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন মমতা। এই পরিস্থিতিতেই বিস্ফোরক দিলীপ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন