Advertisment

আসাম থেকে গুন্ডা এনে ২৩ এপ্রিলের ভোটে বিজেপি পূর্ব ত্রিপুরায় সন্ত্রাস ছড়াবে: সিপিএম

পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে ভোটের দিন ব্যাপক রিগিং হয়েছে, এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে গৌতমবাবু আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পূর্ব ত্রিপুরাতেও একই কৌশলে ভোট করানোর চেষ্টা করবে বিজেপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শুধু সিপিএম-ই নয়, কংগ্রেসও ত্রিপুরার ভোটে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগে সরব হয়েছে।

আসাম থেকে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসে আগামি ২৩ এপ্রিল পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি সন্ত্রাস ছড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল ত্রিপুরা রাজ্য সিপিএম।

Advertisment

অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পূর্ব ত্রিপুরার লোকসভা কেন্দ্রে ভোট নজিরবিহীন ভাবে পাঁচ দিন পিছিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফশিলি উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত এই আসনে আজ ভোট হওয়ার কথা ছিল। সেই ভোট পিছিয়ে গিয়ে হবে আগামি ২৩ এপ্রিল।

আরও পড়ুন- মোদীর হেলিকপ্টার পরীক্ষা করতে চেয়ে সাসপেন্ড আইএএস অফিসার

সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "আমাদের কাছে নির্দিষ্ট খবর আছে, ভোটের দিন আসাম থেকে গুন্ডা ভাড়া করে এনে গোলমাল পাকাবে বিজেপি। আমাদের দাবি, রাজ্য পুলিশ এখন থেকেই সমস্ত হোটেল এবং গেস্টহাউসে তল্লাশি চালাক এবং সন্দেহজনক ব্যক্তিদের এই কেন্দ্রের বাইরে পাঠানোর ব্যবস্থা করুক।"

পশ্চিম ত্রিপুরা কেন্দ্রে ভোটের দিন ব্যাপক রিগিং হয়েছে, এই অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে গৌতমবাবু আশঙ্কা প্রকাশ করেন, পূর্ব ত্রিপুরাতেও একই কৌশলে ভোট করানোর চেষ্টা করবে বিজেপি। গৌতমবাবুর কথায়, "পশ্চিম ত্রিপুরায় ব্যাপক রিগিং করেছে বিজেপি। জনসমর্থন হারানোর ফলেই সন্ত্রাস করে ভোটে জিততে চাইছে শাসক দল। বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যে উন্নয়নের সমস্ত কাজ থমকে গিয়েছে। মানুষ এই সরকারের কাজে হতাশ।”

আরও পড়ুন- নমো টিভিকে মানতে হবে নির্বাচনী নীরবতা বিধি, স্পষ্ট জানাল নির্বাচন কমিশন

ত্রিপুরায় প্রথম দফার ভোটের পর সিপিএম দাবি করেছিল, ১,৬৭৯ টি বুথের মধ্যে ৪৬৪ টি বুথে রিগিং হয়েছে। গৌতমবাবু অবশ্য আজ বলেছেন, বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে তাঁরা জেনেছেন, ৭৭৪ টি বুথে রিগিং হয়েছে প্রথম দফায়। সিপিএম-এর দাবি, দ্বিতীয় দফার ভোট অবাধে এবং শান্তিতে সম্পন্ন করতে আধাসেনা মোতায়েন করা হোক সমস্ত বুথে, বাড়ানো হোক টহলদারি।

ত্রিপুরায় দুটি লোকসভা কেন্দ্র আছে। পূর্ব ত্রিপুরা এবং পশ্চিম ত্রিপুরা। গত ১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হয় পশ্চিম ত্রিপুরায়। আজ, ১৮ এপ্রিল ভোট হওয়ার কথা ছিল পূর্ব ত্রিপুরায়। কিন্তু বেনজির সিদ্ধান্তে অপর্যাপ্ত নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে পূর্ব ত্রিপুরার নির্বাচন পাঁচ দিন পিছিয়ে দেয় কমিশন। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটদানের যোগ্য করে তুলতে রাজ্য নির্বাচনী দফতরকে নির্দেশ দেয় কমিশন।

শুধু সিপিএম-ই নয়, কংগ্রেসও ত্রিপুরার ভোটে ব্যাপক রিগিংয়ের অভিযোগে সরব হয়েছে।

CPIM lok sabha 2019 bjp tripura
Advertisment