প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে লালা কেল্লায় হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত দীপ সিধুর জামিনের বিরোধিতা করলো দিল্লি পুলিশ। আদালতে পুলিশ জানালো, 'হিংসা ছড়ানো ও জাতীয় পতাকার অবমাননা' করাই ছিল দীপ সিধুর উদ্দেশ্য। পুলিশের তরফে এদিন আদালতে বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত সিধুর ভিডিও জমা করা হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৫ এপ্রিল।
আদালতে পুলিশের আইনজীবী বলেছেন, 'সংবাদ মাধ্যমের দেওয়া সাক্ষাৎকারেই সিধু স্বীকার করছেন যে ২৬ জানুয়ারি পুলিশের তরফে করে দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙেছেন। তাঁর সামনেই জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়েছে। তিনি আগেই থেকে জানতেন যে পুলিশের নির্ধারিত রুট ভেঙে মিছিল এগোবে। এটাই প্রমাণ করে যে, হিংসা ছড়ানো ও জাতীয় পতাকা অবমনা করাই ছিল দীপ সিন্ধুর আসল উদ্দেশ্য।'
২৬ জানুয়ারি লাল কেল্লায় সিধুর উপস্থিতি ও নিশান সাহিবের পতাকা উত্তোলনের দায়ে অন্যতম অভিযুক্ত যুগরাজ সিংকে উস্কানি দেওয়ার ভিডিও আদালতে এদিন পেশ করে দিল্লি পুলিশ। এছাড়া, কৃষকদের ব়্যালিকে স্লোগান দিয়ে হিংসায় মদত জোগানোরও অভিযোগ দীপ সিধুর বিরুদ্ধে তোলে পুলিশ।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দীপ সিধু ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টরের উপর দাঁড়িয়ে নিজেকে কৃষক নেতা বলে দাপবি করেছেন। বিক্ষোভকারী কৃষকরা ইতিহাস গড়েছেন বলেও সেখানে দাবি করেন তিনি। লাল কেল্লায় যাওয়া ও সেখান থেকে নতুন মোর্চা গঠনের উদ্দেস্যেই দীপ সিধুর এই 'মিথ্যা' দাবি বলে মনে করে পুলিশ। হিংসা ছড়ানোর জন্য পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে সে এবং হাংলায় ১৪৪ জন পুলিশ কর্মী জখম হন।
তবেস, হিংসা ছড়ানো নয়, কৃষকদের জোটবদ্ধ আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দীপ সিধু। বেছে পুলিশ তাঁর মকেকলের যে ভিডিও আদালতে দিয়েছে তা 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে দাবি করেছেন দীপ সিধুর আইনজীবী অভিষেক গুপ্তা।
২৬ জানুয়ারি দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালিকে কেন্দ্র করে উত্তাপ ছড়ায়। লাল কেল্লায় হামলার দায়ে পুলিশ গ্রেফতার করে দীপ সিধুকে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন