Advertisment

'লকেট হুগলিতে কেন? আরও তো সিট ছিল!'

Lok Sabha polls 2019: "হ্যাঁ, রিজাইন করেছি। আমি ২৮ বছর ধরে পার্টিটা করছি। কিন্তু কর্মীরা আমাকে নেতা মানলেও তথাকথিত নেতারা আমাকে নেতা মানে না।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
locket chatterjee lok sabha 2019

প্রথম বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর লকেট

Lok Sabha elections 2019: প্রকাশ্যে এলো বিজেপির গৃহযুদ্ধ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরেই বঞ্চনার অভিযোগে বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন রাজকমল পাঠক। হুগলি বা শ্রীরামপুরে লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন রাজকমলবাবু। কিন্তু শেষমেশ ওই দুই কেন্দ্রে এবার পদ্ম প্রতীকে লড়ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ও দেবজিৎ সরকার। দলের কাছে প্রার্থী হওয়ার আবেদন জানানো সত্ত্বেও ভোটের টিকিট না মেলায় পদত্যাগ করলেন দলের দীর্ঘদিনের নেতা।

Advertisment

তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে জানান, "হ্যাঁ, রিজাইন করেছি। আমি ২৮ বছর ধরে পার্টিটা করছি। কিন্তু কর্মীরা আমাকে নেতা মানলেও তথাকথিত নেতারা আমাকে নেতা মানে না। এই ২৮ বছরে কোনোবার আমি দাঁড়াতে চাই নি, চিরকাল পার্টির কাজই করে গেছি।"

আরও পড়ুন: Lok Sabha polls 2019: জল্পনার অবসান, বিজেপিতে গৌতম গম্ভীর

রাজকমলবাবুর কথায়, ২০১৪-র লোকসভা ভোটের আগেও তাঁর নাম হুগলির প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হয়, কিন্তু শেষ অবধি প্রার্থী মনোনীত হন চন্দন মিত্র, যাঁর হয়ে প্রচারেও নামেন রাজকমলবাবু। তারও আগের বার, অর্থাৎ ২০০৯ সালের নির্বাচনেও হুগলির সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, "সেবার জুুলুুুদা বললেন, 'তুমি দাঁড়িয়ো না, আমরা সবাই তো ভোটে লড়তে চলে যাচ্ছি, তাই তুমি সংগঠনের কাজটা দেখো'। আমি সেইমতো কাজ করেছি।"

কিন্তু এবার রাজকমলবাবু মনে করছেন, তাঁকে "আটকাবার চক্রান্ত" করা হচ্ছে, কারণ তিনি এলে "অনেকের অসুবিধে হতে পারে"। কোনো নির্দিষ্ট নাম না করেই তাঁর প্রশ্ন, "এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হঠাৎ হুগলিতে এনে ফেলা হলো কেন? আরও তো ভালো ভালো সিট ছিল - যাদবপুরে দিতে পারত, সাউথ ক্যালকাটায় দিতে পারত, হাওড়া বা কৃষ্ণনগরে দিতে পারত।"

অন্যদিকে শ্রীরামপুর কেন্দ্রে দেবজিত সরকারের মনোনয়ন নিয়েও গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন একদা বিজেপির যুব শাখার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বললেন, "টিকিট পাওয়ার যোগ্যতা যখন আমার নেই, তখন নিশ্চয়ই দলের সহ সভাপতি হওয়ার যোগ্যতাও নেই। নতুন যারা আসছে, যাদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি রয়েছে, তারাই পদের দায়িত্বে থাক, তাই ছেড়ে দিলাম।"

অবশ্য একইসঙ্গে নিজের ভাবমূর্তি নিয়েও দ্বিধাহীনভাবে তিনি বললেন, "খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন, আমার মতো পরিচ্ছন্ন নেতা বিজেপিতে খুব বেশি নেই। একেবারে নেই বলছি না, কিন্তু খুব কম আছে।" তাহলে কি একেবারে দল ছেড়ে দেওয়ার কথাই ভাবছেন? স্পষ্ট জবাব, "আমি তো এদের দেখে দল করতে আসি নি, আমি এসেছি আমার নীতি আদর্শ নিয়ে। দল ছাড়ার কথা উঠছেই না।"

একে তো প্রার্থী তালিকা ঘোষণায় বিলম্ব নিয়ে অখুশি দলীয় কর্মীদের একাংশ। তার ওপর দীর্ঘদিনের নেতার এই খুল্লম খুল্লা অসন্তোষ প্রকাশ দলের ওপর কতটা চাপ সৃষ্টি করে, সেটা আর কিছুদিনের মধ্যেই বোঝা যাবে। এখানেও কি 'আদি বনাম নব্য' সংঘাতের আভাস?

bjp west bengal politics
Advertisment