তিনি নিজেই বলেন, আহত বাঘ অনেক বেশি ভয়ঙ্কর। নন্দীগ্রামে প্রচারের সময় আহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বেডে শুয়েই ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে ফিরবেন তিনি। প্রয়োজনে হুইলচেয়ারে করে মিটিং-মিছিল করবেন। তৃণমূলও জানিয়ে দিয়েছে, আহত হলেও মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার সূচিতে কোনও বদল হবে না। সেইমতো শনিবারই ফের পথে নামছেন 'স্ট্রিট ফাইটার' দিদি।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম কর্মসূচি পুরুলিয়ার বলরামপুরে। তার পরের কর্মসূচি ওই জেলারই বাঘমুণ্ডিতে। তৃণমূল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে ৫ দিনে মোট ১২টি সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও তিনি শারীরিক সেই ধকল নিতে পারবেন কি না সেটা সম্পূর্ণ চিকিৎসকদের উপর। সূত্রের খবর, শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শনিবার থেকেই পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলে প্রচারে ঝড় তুলতে প্রস্তুত হচ্ছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ থেকে প্রচারাভিযান শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ঠিক থাকলে পরপর ৫ দিনে ১২টি সভা করবেন তিনি। শনিবার পুরুলিয়ায় দুটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। একটি বলরামপুরে এবং আরেকটি বাঘমুণ্ডিতে। এরপর পরের দিন ১৪ মার্চ বাঁকুড়ায় পরপর তিনটি জনসভা করবেন মমতা। এর পর ১৫ মার্চ ঝাড়গ্রামে সভা করবেন তিনি।
১৬ মার্চ পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডা, গড়বেতা ও কেশিয়ারিতে তিনটি পৃথক সভা করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পরের দিন ১৭ মার্চ তিনটি সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা, পটাশপুর ও তমলুকে সভা করবেন তিনি। একপ্রকার গোটা সপ্তাহ জুড়ে ঠাসা কর্মসূচি মুখ্যমন্ত্রীর। এবার দেখা যাক, পায়ে চোট নিয়ে তিনি কীভাবে প্রচারে ঝড় তোলেন!