Advertisment

Devendra Fadnavis interview: বিজেপি বড় দল, মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দাবি নিয়ে কী জানালেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ?

'বিজেপি বড় দল, আরও বেশি আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করবে, তার মানে এই নয় আমরা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দাবি করব'....!

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Devendra Fadnavis, Lok Sabha Elections 2024, Devendra Fadnavis interview, bjp, Bharatiya Janata Party (BJP), Mahayuti alliance, Sharad Pawar, Uddhav Thackeray, Indian express news, current affairs

মহারাষ্ট্রের ডেপুটি সিএম দেবেন্দ্র ফড়নবিস। (প্রকাশ করা)

আগামী ২০ মে মহারাষ্ট্রে পঞ্চম দফার নির্বাচন। ঠিক তার মাত্র কয়েক দিন আগে, রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছেন।

Advertisment

লোকসভা নির্বাচনের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের প্রতিটি কোনায়। বাদ নেই মহারাষ্ট্রেও। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের দিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য। সম্ভবত ৪ জুন কেন্দ্রে নতুন সরকার গঠনের পরপরই বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হবে। তাই বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে রাজ্যে নতুন সমীকরণ দেখা যাবে নাকি পুরনো সরকার ক্ষমতায় আসবে। এছাড়াও নতুন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী পদের ফর্মুলা কী হবে সেদিকেও নজর রয়েছে সবার। এই সব বিষয়ে খোলামেলা উত্তর দিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।

মহারাষ্ট্রে বর্তমান নির্বাচনের পরিবেশ কেমন?
রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, রাজ্যে সুন্দর নির্বাচনী পরিবেশ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় বিপুল জনসমাগম হচ্ছে। মহারাষ্ট্রে ৪১ টিরও বেশি আসনে জয়ী হবে 'মহাযুতি’ জোট।

এনসিপি-র সঙ্গে জোট করার কারণে কর্মীদের মধ্যে কোনও অসন্তোষ নেই?

দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: শিবসেনা এবং বিজেপির মধ্যে 'আবেগগত জোট' হয়েছে এবং এনসিপির সঙ্গে একটি 'রাজনৈতিক জোট' রয়েছে। শুরুতে কিছু সমস্যা ছিল, এখন সেই সমস্যা মিটে গেছে। আমাদের স্লোগান সবার জন্য ন্যায়বিচার, কাউকেই তুষ্ট করা নয়।

বলা হচ্ছে মারাঠি ভোটাররা আপনার সঙ্গে নেই?
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: ২০১৭ সালে আমরা বিএমসি নির্বাচনে আলাদাভাবে লড়াই করেছি। উদ্ধব সেনা পেয়েছে ৮৪টি আসন এবং আমরা পেয়েছি ৮২টি আসন। আমরা বিধানসভায়ও তাদের চেয়ে বেশি আসন পেয়েছি। মারাঠি ভোট না থাকলে এটা কি সম্ভব ছিল? মুসলিম ভোটারদের থেকে মারাঠি ভোটের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন উদ্ধব।

দেশের সংবিধানকে রক্ষা করেছেন মোদী: ফড়নবিশ
আজ পর্যন্ত কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা মুসলমানদের ভয় দেখিয়ে ভোট কেড়ে নিয়েছে। আমরা তিন তালাক শেষ করেছি, আরও অনেক কিছু করেছি। একইভাবে দলিতদের মধ্যেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে যে সংবিধান বাতিল করা হবে, কিন্তু মোদীর প্রতি আস্থা এতটাই বেশি যে এই গুজব টিকবে না। ১০ বছর সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকার পরেও মোদী দেশের সংবিধানকে রক্ষা করেছেন। এই নির্বাচনের পর কংগ্রেসের মুসলমানদের ভয় দেখানোর রাজনীতিরও অবসান হবে।

আসন বণ্টন নিয়ে অনেক বিভ্রান্তি ছিল, কিছু আসনে ভাগাভাগি ফর্মুলাতে কী কর্মীরাও হতাশ?
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: দেখুন, প্রতিটি দলই মনে করছে আমাদের বেশি আসনে লড়তে হবে। বিজেপিও ৩০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমরা ২৮ টি আসন পেয়েছি, যা খুব কম নয়। আমরা থানে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জোর দিয়েছিলেন যে এই আসনটি আনন্দ দীঘের, তারপরে আমরা এটি ছেড়ে দিয়েছিলাম। আজ মহাযুতির কর্মীরা নির্বাচনে একসঙ্গে কাজ করছেন

বিএমসি নির্বাচন নিয়ে কী বললেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ?
গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বিএমসি নির্বাচন হয়নি, সেই প্রশ্নে ফড়নবিশ বলেন, আমরা নিজেরাও চাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিএমসি নির্বাচন হোক। বর্তমানে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আদালতের অনুমতি পেলেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বিরোধীরাও নির্বাচনে ইভিএমের প্রসঙ্গ তুলছে, কী বলবেন?
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: নির্বাচনী পরাজয়ের আশঙ্কায় এমন পরিবেশ তৈরির চেষ্টা ইতিমধ্যেই চলছে। সব মিলিয়ে ফলাফলের পর পরাজয়ের কোনো না কোনো কারণ তো দিতেই হবে।

মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত কোন ফর্মুলা মেনে?
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, “গতবার, বিজেপি-শিবসেনা জোট রাজ্যে ৪১ টি আসন জিতেছিল। ফড়নবীস বিশ্বাস আশা করছেন যে এই বছর 'মহাযুতি' নিশ্চিতভাবেই অনেকগুলি আসনে জিতবে। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপি এবং অন্যান্য সহযোগী দলগুলি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোট হিসাবে একসঙ্গে লড়াই করবে। এখন বিজেপির ১১৫ জন বিধায়ক থাকলেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া হয়েছে একনাথ শিন্ডেকে। অতএব, ফড়নবিশ স্পষ্ট করেছেন যে বিজেপির সংসদীয় কমিটি বিধানসভা নির্বাচনের পরে মুখ্যমন্ত্রী পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি বলেন, “২০১৪ সালে, আমরা শিবসেনাকে ১৪৭ টি আসন দেওয়ার পরে ১২৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রস্তুত ছিলাম। তবে শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে ১৫১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্য ঘোষণা করেছিলেন। তাই জোট ভেঙেছে শিবসেনা। তার থেকেই বোঝা গেল রাজ্যে আমাদের শক্তি। এটি আমাকে ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত করেছে"। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছিলেন তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ আমরা ঠিক করব না। যে দল বেশি আসন পাবে সেই মুখ্যমন্ত্রী হবেন"

একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করায় রাগ হয়েছিল?
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: মহারাষ্ট্রে ক্ষমতার পালাবদলের পর একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়ে বড়সড় প্রকাশ করলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিস। তিনি বলেন, আমি আগে থেকেই জানতাম আমি মুখ্যমন্ত্রী হব না। লোকসভা নির্বাচনের মাঝামাঝি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বড়সড় প্রকাশ করেছেন। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছিলেন যে মুখ্যমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে আমি মোটেও বিচলিত নই। এছাড়াও, মহারাষ্ট্রে আসন ভাগাভাগি নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছিলেন যে সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে ৯০ শতাংশ সমস্যার সমাধান করেছি।

উদ্ধব ঠাকরের প্রতি সহানুভূতি সম্পর্কে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন কেন তার প্রতি সহানুভূতি থাকবে। উদ্ধব ঠাকরে কংগ্রেস-এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন। নিজের দম্ভের কারণেই আজ তাঁর এই পরিণতি। অন্যদিকে, অজিত পাওয়ারের বিজেপিতে যোগদান প্রসঙ্গে দেবেন্দ্র ফড়নবীস বলেছেন, শরদ পাওয়ার দল করেছিলেন, কিন্তু অজিত পাওয়ার সব দিকটা দেখতেন। কিন্তু দলে তাকে দলে 'ভিলেন' হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছিল যাতে সুপ্রিয়া সুলেকে 'নায়ক' হিসাবে তুলে ধরা যায়। অজিত পাওয়ার নিজেই বলেছেন যে 'আমি ছেলে নই তাই দলের রাশ হাতে পাব না। তারপর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

লোকসভা নির্বাচন সম্পর্কে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, নির্বাচন সর্বত্র চ্যালেঞ্জিং ছিল। মহারাষ্ট্রের সমস্ত অঞ্চলে ভাল সমর্থন রয়েছে। আমরা গতবারের থেকেও ভাল পারফরম্যান্সের আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিটি জনসভায় বিপুল, জনসমাগম হয়েছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে বিজেপি দৃঢ় ভাবে তার জায়গা ধরে রেখেছে।

'মহাযুতি' দলগুলোর মধ্যে কি সমন্বয়ের সমস্যা ছিল?
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: প্রাথমিকভাবে, যখন অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বে এনসিপি আমাদের জোটের অংশ হয়ে ওঠে তখন বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল, বিশেষ করে পশ্চিম মহারাষ্ট্রে কারণ আমাদের দল সর্বদা এনসিপিকে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে বিবেচনা করত। আমরা পরের দু মাস আমাদের ক্যাডারদের এনসিপির সঙ্গে জোট করার কারণ ব্যাখ্যা করেছি। অবশেষে, আমরা সফল।

শরদ পাওয়ারকে হারাতে না পারায় বিজেপির বিরুদ্ধে পাওয়ার পরিবারে বিভক্তি তৈরির অভিযোগ আনা হয়েছে…
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: যখন দল বা পরিবার ভাঙার কথা আসে, তখন শরদ পাওয়ারই 'নায়ক'।

শরদ পাওয়ার এবং মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে তার প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে আপনার কী বলার আছে?

দেবেন্দ্র ফড়নবিশ: শরদ পাওয়ার মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে সর্বদা প্রাসঙ্গিক থাকবেন। কারণ, তিনি মহারাষ্ট্রের রাজনীতি বোঝেন। এই ধরনের রাজনীতি বোঝার জন্য তিনি সবচেয়ে সিনিয়র ও সক্রিয় নেতা। তাই তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবেন।

Fadnavis participates in a public meeting with BJP supporters in Mumbai North Central constituency at Sakinaka on 12 May 2024. (Express photo by Sankhadeep Banerjee)
জনসভায় ফড়নবিশ (শঙ্খদীপ ব্যানার্জির এক্সপ্রেস ছবি)
Chief Minister Eknath Shinde, Deputy chief minister Devendra Fadnavis along with Deputy chief minister Ajit Pawar sharing dais for 'Shasan Aplya Dari' progam of state government. (Express Photo by Pavan Khengre)
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সহ উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়া (এক্সপ্রেস ছবি পবন খেংরে)
Devendra Fadnavis
Advertisment