শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে গেল পুরুলিয়ার জয়পুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে খারিজ করে কমিশনের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দিল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের রায়ের ফলে জয়পুর কেন্দ্রে আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না তৃণমূল। অর্থাৎ ২৯৪টির মধ্যে বর্তমানে ২৯০টি আসনে লড়াই করবে শাসক শিবির। ৩টি কেন্দ্রে জোট সঙ্গীকে ছেড়ে দিয়েছে জোড়া-ফুল বাহিনী।
গত বুধবার ছিল প্রথম দফার মনোনয়নপত্র পরীক্ষার শেষ দিন। তার আগেই কমিশনের তরফে চিঠি দিয়ে তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারকে জানানো হয়েছিল যে তাঁর হলফনামায় ভুল রয়েছে। শেষ দিন অর্থাৎ বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে সংশোধিত হলফনামা জমা দিতে বলে কমিশন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তৃণমূল প্রার্থী সংশোধিত হলফনামা জমা দেন কমিশনে। কিন্তু সেখানেও তারিখ ভুল উল্লেখ ছিল। এরপর জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বাতিল বলে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত বৃহস্পতিবার আদালতের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। কমিশন আদালতে জানায়, বিধি মেনেই বাতিল করা হয়েছেজয়পুরের শাসক দলের প্রার্থীর মনোনয়ন। যদিও হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ রায়ে জানায় তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন বৈধ। উল্লেখিত তারিখের লঘু ভুলের জন্য কোনও প্রার্থীর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না বলে যুক্তি দেয় আদালত।
যদিও সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়ের বিরুদ্ধে শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় কমিশন। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের রায় বাতিল করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে গেল পুরুলিয়ার জয়পুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উজ্জ্বল কুমারের মনোনয়ন।
বৃহস্পতিবার প্রার্থীর পক্ষে রায় দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, ছোট্ট একটা ভুলের জন্য কারও ভোটে লড়াই করার অধিকার কেড়ে নেওয়া যায় না।
এদিন দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মহাসচিব কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশান তুলেছিলেন। জোড়া-ফুল প্রার্থীদের নির্বাচনী লড়াই থেকে সরিয়া দিতে কমিশন মরিয়া বলে দাবি করেন তৃণমূল মহাসচিব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন