কলকাতায় অমিত শাহের রোড শো ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন। আগামী রবিবার, ১৯ মে, রাজ্যের নয়টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। হিসেব মতো নির্বাচনের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার বন্ধ হওয়ার কথা। কিন্তু আজ রাত ১০ টার পর থেকে আর কোনও কেন্দ্রেই প্রচার করা যাবে না।
মঙ্গলবার শহরে বিদ্যাসাগর কলেজে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার ঘটনায় তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনের এক আধিকারিক বলেছেন, "আশা করা হচ্ছে রাজ্য প্রশাসন দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করতে পেরেছে।" তিনি আরও বলেন, "সম্ভবত এই প্রথম নির্বাচন কমিশন ৩২৪ ধারা প্রয়োগ করতে চলেছে, কিন্তু এ ধরনের আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে এটাই এই আইনের শেষ প্রয়োগ হবে না।"
শেষ দফার ভোট হবে দমদম, বারাসাত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা উত্তর ও কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে।
এর আগে বুধবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ বলেন, "আপনি শুধু ৪২টি আসনে লড়ছেন, আমরা সব রাজ্যে লড়ছি। বাংলাতেই শুধুমাত্র হিংসা হচ্ছে। অন্য কোথাও হয় নি। গত ছয় দফার ভোটে কোনও রাজ্যে হিংসা ছড়ায় নি। শুধুমাত্র বাংলাতে ছড়িয়েছে, কারণ এখানে তৃণমূল রয়েছে। বিজেপি যদি হিংসা করত, তাহলে সব রাজ্যে হতো।"
প্রসঙ্গত, ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ ধারার আওতায় দেশের যে কোনোরকম নির্বাচনের রক্ষণাবেক্ষণ, পরিচালনা, এবং নির্বাচনী তালিকা প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালনের দায়িত্ব বর্তায় নির্বাচন কমিশনের ওপর।