কঙ্গনা রানাউত-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জের। কংগ্রেসের সুপ্রিয়া শ্রীনাথে এবং বিজেপির দিলীপ ঘোষকে কমিশনের নোটিস।
ভোটযুদ্ধে নেমে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে বেনজির আক্রমণ করে কমিশনের তোপের মুখে পড়তে হয় সুপ্রিয়া শ্রীনাথেকে। অভিনেত্রীকে ‘যৌনকর্মী’ বলে সরাসরি নিশানা করেন তিনি। আর এরপরই 'অ্যাকশনে' নেমে পড়েছে নির্বাচন কমিশন।
বলিউড অভিনেত্রী তথা মান্ডির বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনাথে। যার জেরে এবার কংগ্রেস নেত্রীকে শো'কজ করল কমিশন। একই সঙ্গে টিএমসি সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে 'অশালীন' মন্তব্য করে বিপাকে পড়তে হল বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকেও। তাঁকেও কমিশনের তরফে শো'কজ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের সতর্কতা উপেক্ষা করে ব্যক্তিগত কুরুচিকর আক্রমণে এবার কড়া নির্বাচন কমিশন। বুধবার নির্বাচন কমিশন কংগ্রেস মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাথে এবং বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে 'আপত্তিকর মন্তব্যের' বিষয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। বলিউড অভিনেত্রী এবং মান্ডির বিজেপি প্রার্থী কঙ্গনা রানাউতকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন সুপ্রিয়া শ্রীনাথে।
যেখানে বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ‘উনি গোয়ায় গিয়ে বলেন, আমি গোয়ার মেয়ে। ত্রিপুরায় গিয়ে বলেন, আমি ত্রিপুরার মেয়ে। আরে বাপ তো আগে ঠিক করুন। যার তার মেয়ে হওয়া ঠিক নয়।’ কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানিয়ে শুক্রবার বিকেল ৫টার মধ্যে কমিশনের কাছে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাঁদের।
কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাথে তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত সম্পর্কে একটি আপত্তিকর পোস্ট শেয়ার করার পরে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর জবাবে কঙ্গনা বলেন, 'প্রতিটি মহিলাই মর্যাদার যোগ্য।' তবে বিতর্ক বাড়তে থাকায় সুপ্রিয়া শ্রীনাথে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্টটি মুছে দেন। তিনি দাবি করেন কেউ আমার অ্যাকাউন্ট থেকে এই কাজ করেছে। আমি জানার সাথে সাথে আমি এই পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছি।"
এদিকে মমতার বিরুদ্ধে আপত্তি কর মন্তব্যের জবাবে এক বিবৃতিতে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোন লড়াই নেই। এটা আমার রাজনৈতিক বক্তব্য ছিল, কিন্তু আমি প্রশ্ন করব যে আপনার (টিএমসি) নেতারা আমাদের নেতা (শুভেন্দু অধিকারী) এবং তার বাবার বিরুদ্ধে অনেক অশালীন শব্দ ব্যবহার করেছেন, তাদের কি কোন সম্মান নেই"? একই সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের নারী ও শিশু কল্যান উন্নয়ন মন্ত্রী শশী পাঁজা তাঁর বক্তব্যের জেরে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন। শশী পাঁজা বলেছেন, "তাঁর অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত"।