করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ দিকে যাচ্ছে। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় বাকি দুই দফার ভোটগ্রহণ একদিনে করার আবেদন জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার রাজ্যের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে একদিনে বাকি দফার ভোটগ্রহণ করার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কাজ হল না তাতে। নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বুধবার। জানিয়ে দিয়েছে, বাকি ভোটগ্রহণ নির্ঘণ্ট মেনেই হবে।
মঙ্গলবারই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে চিঠি লিখে দলের তরফে আবেদন করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন। এরপর তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের দফতরে গিয়ে দেখাও করে। চিঠিতে ডেরেক মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে আবেদন করেছিলেন, রাজ্যের মানুষের জীবন এবং জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে ভোটগ্রহণ একদিনে করুক কমিশন। এই মুহূর্তে রাজ্যে সবচেয়ে বড় দুটি ইস্যু হল জনস্বাস্থ্যের অধিকার এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অধিকার।
জবাবে কমিশন জানিয়ে দিল, নির্বাচন জটিল প্রক্রিয়া। শেষবেলায় এসে আর ভোট একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। তাছাড়া, করোনা বিধি মেনে ভোট করার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থাও করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের যুক্তি, শেষ দু’দফার ভোট একসঙ্গে করানো হবে না। এমনিতেই করোনার কথা ভেবে ২০১৬ নির্বাচনের তুলনায় এবছর ১১ দিন কমিয়ে আনা হয়েছে। তাছাড়া এবছর বাংলায় বুথের সংখ্যা বেড়েছে ৩২ শতাংশ। পাশাপাশি করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য সন্ধে ৭টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোটপ্রচার বন্ধ রাখা হয়েছে। ভোটের দিনের ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে প্রচার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।