রাজ্যে তৃতীয় দফার ভোটের দিনই বড়সড় পদক্ষেপ করল কমিশন। একসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতার আটজন রিটার্নিং অফিসারকে। মঙ্গলবার রাতে বিবৃতি দিয়ে জানায় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রের খবর, পরপর তিন বছর কেউ এক পদে থাকতে পারেন না। সেক্ষেত্রে সেই আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়াই নিয়ম। কিন্তু এতদিন কলকাতার ক্ষেত্রে সেই নিয়ম কার্যকর করা হয়নি। এবার সেই বিধিই কার্যকর করা হল। আর তাই সরানো হয়েছে ওই আট রিটার্নিং অফিসারকে।
তবে এটাও জানা গিয়েছে যে, এই আটজনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন সময়ে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে কমিশনে। মূলত বিরোধী দল থেকেই অভিযোগ করা হয়। কিন্তু আগে সেগুলি গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়নি। এবারের ভোট গোড়া থেকেই অন্যরকম। আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। এই আটজনকে শো-কজ করে কমিশন। তারপরই তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। এঁদের বদলে নয়া রিটার্নিং অফিসারও নির্দিষ্ট করে ফেলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
কলকাতার মোট আটটি বিধানসভা এলাকার রিটার্নিং অফিসারকে অপসারিত করা হয়েছে। সেগুলি হল- কলকাতা বন্দর, জোড়াসাঁকো, ভবানীপুর, এন্টালি, চৌরঙ্গী, বেলেঘাটা, শ্যামপুকুর, কাশীপুর-বেলগাছিয়া। অর্থাৎ কলকাতার ১১টি আসনের মধ্যে আটটিরই রিটার্নিং অফিসারকে সরিয়ে দিল কমিশন। এই কেন্দ্রগুলিতে এবার একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী ভোটে দাঁড়িয়েছেন।
এর মধ্যে শ্যামপুকুরে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতা বন্দর আসন থেকে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের আরেক মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ভবানীপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ছেড়ে যাওয়া আসনে তৃণমূল প্রার্থী রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সবমিলিয়ে কোনওভাবে যাতে আগের মতো পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না আসে সেদিকে কড়া নজর কমিশনেরষ