দেশ জুড়ে চলছে লোকসভা ভোট। বিরোধীদের নির্বাচনী প্রচারে বারে বারে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সহ কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে অপব্যবহারের বিষয়টি। নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পরও আর্থিক তছরূপ মামলায় ইডি তার অভিযান জারি রেখেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সুপ্রিম কোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)কে কোন ব্যক্তিকে এই মামলার অধীনে গ্রেফতারের বিষয়ে একটি বিশেষ নির্দেশ জারি করেছে। ইডি-র গ্রেফতার নিয়ে আজ বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম রায়ে ইডির অপরিসীম ক্ষমতায় কিছুটা লাগাম টানা হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
আদালত বলেছে, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট যদি কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে চায় তবে প্রথমে ইডিকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। আদালত এদিন আরও বলেছে যে, ইডি যদি এই ধরণের অভিযুক্তের হেফাজত চায়, তাহলে বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে ইডিকে। বিচারপতি অজয় এস ওকা এবং উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) আর্থিক তছরুপ মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)র গ্রেফতারি নিয়ে বড় মন্তব্য করেছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে যদি বিশেষ আদালতে অভিযোগের বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকে তবে ইডি পিএমএলএ এর ১৯- ধারার অধীনে ক্ষমতা ব্যবহার করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না।
গ্রেফতারের জন্য ইডি-র বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে। আদালত আরও বলেছে ‘পিএমএলএ মামলায় অভিযুক্ত যদি সমন মেনে আদালতে হাজিরা দেন, তবে তাঁর আলাদা ভাবে জামিনের আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই।’’ সেক্ষেত্রে পিএমএলএ-র ৪৫ নম্বর ধারার জোড়া শর্ত কার্যকরী হবে না বলেও বৃহস্পতিবার জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে বিশেষ আদালতে আবেদন করতে হবে ইডিকে। আবেদনে সন্তুষ্ট হলেই আদালত অভিযুক্তদের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেবে।
আদেশ দেওয়ার সময়, সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে 'প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট' (পিএমএলএ) এর ১৯ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতা ব্যবহার করে ইডি আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না। ইডি কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে চাইলে প্রথমে আদালতে আবেদন করতে হবে।
হেফাজতে নিতে চাইলে আদালতে আবেদন করতে হবে: সুপ্রিম কোর্ট
সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে, ইডি অভিযুক্তকে হেফাজতে নিতে চাইলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করতে হবে। আবেদনে সন্তুষ্ট হলেই আদালত অভিযুক্তদের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেবে। এর পাশাপাশি আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, যদি কোন অভিযুক্ত বারবার সমনকে উপেক্ষা করে আদালতে অনুপস্থিত থাকেন সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা ৭০-এর অধীনে জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করা যেতে পারে৷