গায়ক তথা বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়র টুইটার হ্যান্ডেলে চোখ রাখবে নির্বাচন কমিশন। বুধবার বাবুল সুপ্রিয় নির্বাচন কমিশনের চিঠির উত্তর দেওয়ার পরই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। যদিও বাবুলের বক্তব্য, তিনি বিজেপির থিম সং রিলিজ করেননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই, কেন কমিশন ও মিডিয়া মনিটরিং কমিটির কাছ থেকে কোনও রকম ছাড়পত্র (সার্টিফিকেশন) না নিয়ে এমন গান পোর্টালে এবং ইন্টারনেটে আপলোড করে কেন আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করা হয়েছে, জানতে চেয়ে বাবুলকে শোকজ নোটিস দেয় কমিশন।
টিএমসির অভিযোগ, এই গানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলুষিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া ওয়াচ সেন্টার গানটি দেখেছে এবং তারপরেই বাবুলের কাছে জবাব তলব করা হয়েছে। গানের বিষয় নিয়ে আপত্তি তো উঠেছেই, সঙ্গে এও অভিযোগ রয়েছে যে বৈধ ছাড়পত্র ছাড়াই গানটির প্রচার হচ্ছে। এক পদস্থ নির্বাচন কমিশন অধিকারিক বলেন, "ইসিআই ও মিডিয়া মনিটরিং কমিটি বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। নোটিশে গানটি টুইটারে আপলোডের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।"
আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: ‘এই তৃণমূল আর না’, বাবুলের রিংটোনের জেরে শোকজ ইসি-র
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বাবুল দাবি করেন, তিনি গানটি রিলিজ করেন নি, কিন্তু কিছু বন্ধুদের পাঠিয়েছিলেন। বাবুল সাংবাদিকদের বলেন, "আমি এখনও গানটা রিলিজ করি নি। শুধুমাত্র দলের কিছু কর্মীদের সঙ্গে গানটা শেয়ার করেছিলাম"। এমনকি সাংসদ নিজেকে আড়াল করতে এও বলেন যে তাঁকে ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে যখন গানটির রেকর্ডিং চলছিল। কিছু মিডিয়ার প্রতিনিধি স্টুডিওতে উপস্থিত ছিলেন সেই সময়।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমানের স্টুডেন্ট লাইব্রেরী কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক গৌরব গুপ্ত আসানসোল দক্ষিণ থানাতে বাবুল সুপ্রিয়র বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। তিনি আরও বলেন, মমতার বিরুদ্ধে অপ্রয়োজনীয় অভিযোগের সুরেই গানটির কথা লেখা হয়েছে। যা অত্যন্ত বিদ্বেষমূলক ও অপমানজনক।
Read the full story in English