প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে আদর্শ নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব। মঙ্গলবার, সেই শুনানির দিন ধার্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে আসা তথ্য বলছে ৫ এপ্রিল মোদীর অভিযোগের পর থেকে নির্বাচন কমিশন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা ছাড়া কমিশনের বাকি দুই সদস্য হলেন সুশীল চন্দ্র এবং অশোক লাভাসা।
কংগ্রেস ছাড়া সিপিএম এর কাছ থেকেও মোদীর নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছিল কমিশন। নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকে সপ্তাহে দু'বার বৈঠক করার কথা কমিশনের সদস্যদের। সেই হিসেবে ৫ এপ্রিলের পর থেকে ৬ বার বৈঠক হয়ে যাওয়ার কথা এতদিনে।
আরও পড়ুন, কেন রাজীবকে হেফাজতে নিয়ে জেরা, সিবিআইকে প্রমাণ দিতে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
কেন এতদিনেও মোদীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে পদক্ষেপ করল না কমিশন? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রশ্নের উত্তরে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র শেফালি বি শরন লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, "মোদী এবং বিজেপির বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে সমস্ত আলোচনা হবে ৩০ এপ্রিল। ১ মে আরও একটি বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে"।
সোমবার সন্ধের এক সাংবাদিক বৈঠকে উপ নির্বাচন কমিশনার চন্দ্র ভূষণ কুমার বলেছেন মোদী, অমিত শাহ এবং রাহুল গান্ধী, সবার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েই মঙ্গলবার আলোচনা হবে। নির্বাচনী প্রচারে "চৌকিদার চোর হ্যাঁয়" স্লোগান ব্যবহার করায়, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধেও নির্বাচন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে বিজেপি।
গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ ওঠে, “মডেল কোড অব কন্ডাক্ট আসলে মোদী কোড অব কন্ডাক্টে পরিনত হয়েছে”। কংর্রেসের মুখপাত্র অভিষেক সিঙ্ঘভি অভিযোগ করেছিলেন তেমনটাই। তিনি বলেন বিগত ৫/৬ সপ্তাহে বিজেপি ৩৭টি ভাষণ দিয়েছে, যার মধ্যে অন্ততপক্ষে দশটি ভাষণ ঘৃণা উদ্রেককারী, উস্কানিমূলক, অথবা বিভাজন নীতির ওপর ভিত্তি করা ভাষণ। বিজেপির ভাষণের মধ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রচেষ্টা ছিল বলেই অভিষেক সিঙ্ঘভির অভিযোগ।
গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ ওঠে, “মডেল কোড অব কন্ডাক্ট আসলে মোদী কোড অব কন্ডাক্টে পরিনত হয়েছে”। কংগ্রেস মুখপাত্র অভিষেক সিঙ্ঘভি অভিযোগ করেছিলেন তেমনটাই। তিনি বলেন বিগত ৫/৬ সপ্তাহে বিজেপি ৩৭টি ভাষণ দিয়েছে, যার মধ্যে অন্ততপক্ষে দশটি ভাষণ ঘৃণা উদ্রেককারী, উস্কানিমূলক, অথবা বিভাজন নীতির ওপর ভিত্তি করা ভাষণ। বিজেপির ভাষণের মধ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণের প্রচেষ্টা ছিল বলেই অভিষেক সিঙ্ঘভির অভিযোগ।
Read the full story in English