তৃতীয় দফার লোকসভা ও বিধানসভা ভোটের আগে উত্তপ্ত ওড়িশা। নির্বাচন কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড আক্রান্ত। এ ঘটনার জেরে পিপলির বিজেডি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী প্রদীপ মহারথীকে এ ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ফ্লাইং স্কোয়াডটি যখন মহান্তির ফার্মহাউসে তল্লাশি চালাচ্ছিল তখনই এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
পিপলি লোকসভা কেন্দ্রেরই অন্তর্গত পিপলি বিধানসভা।
ফ্লাইং স্কোয়াডের ম্যাজিস্ট্রেট রবিনারায়ণ পাত্র জানিয়েছেন, "মহারথীর ফার্মহাউস থেকে টাকা ও মদ বিলি করা হচ্ছিল বলে আমার কাছে খবর। আমাদের টিমকে গালাগাল দেওয়া হয়েছে, মারা হয়েছে। আমার কোমরে এমনভাবে মারা হয়েছে যে আমি হাঁটতে অবধি পারছি না।"
পুলিশ মহারথীকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ৩৫৩, ৩৪১, ৩৩১, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৭১ (বি) এবং ১৯৭ ধারায় ও জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১২৩ ধারায় অভিযুক্ত করেছে।
ঘটনার পরপরই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক আসন্ন পরাজয় নিয়ে যে শঙ্কিত এ আক্রমণ তারই প্রমাণ। মহারথীকে প্রার্থী করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে ধর্মেন্দ্র প্রধানের দাবি, বিজেপি যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে ওডিশায় "গুণ্ডা আইন" আনা হবে।
ওড়িশা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি নিরঞ্জন পট্টনায়ক দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশ পেয়ে রবিবার ৭০ জনের একটি দল তাঁর ও তাঁর দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এ ঘটনায় ৬ জন কংগ্রেস কর্মী আহত হয়েছেন বলে খবর।
কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, দুটি গুলি চালানো হয়েছে, তবে কেউ আহত হননি। তিনি বলেছেন আক্রমণকারীদের মধ্যে স্কুল ও জনশিক্ষামন্ত্রী বদ্রীনারায়ণ পাত্রের ছেলেরা ছিলেন। বদ্রীনারায়ণ পাত্র কেওনঝড় লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ঘাসিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী।
টুইটে তিনি বলেছেন, "নবীন গুণ্ডাবাহিনী @নবীন ওড়িশার সরাসরি নির্দেশে আমাকে ঘাসিপাড়ায় আক্রমণ করেছে। বিজেডি পরাজয়ের ভয়ে এতটাই ভীত যে তারা সব ভান ছুড়ে ফেলে ওড়িশার ভোটারদের কাছে নিজের নোংরা মুখ দেখিয়ে ফেলেছেন।"
রাজ্য সরকারের বিজু যুবা বাহিনীর সম্পর্কে বলতে গিয়েই 'নবীন গুণ্ডা বাহিনী'র কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। রাজ্য সরকারি প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত এই বাহিনী বিজেডির হয়ে কাজ করছে বলে আগেও তা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে।