প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ক্লিন চিট নিয়ে সিদ্ধান্ত ফের খতিয়ে দেখবে নির্বাচন কমিশন, লাভাসা ইস্যুতে বৈঠক মঙ্গলবার

গত ১২ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও ভিত্তি খুঁজে পায়নি কমিশন।

গত ১২ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও ভিত্তি খুঁজে পায়নি কমিশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
CEC

অশোক লাভাসা, সুনীল অরোরা এবং সুনীল চন্দ্র (ছবি- অমিত মেহরা)

অশোক লাভাসা ইস্য়ুতে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী আচরণবিধিভঙ্গ নিয়ে তাঁর ভিন্ন মতামত বৈঠকে লিপিবদ্ধ করার প্রস্তাব নাকচ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি আর বৈঠকে থাকবেন না বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রথমবার তাঁর বক্তব্য জানিয়েছিলেন ৪ মে। এর পর ১০ ও ১৪ মে আরও দুবার একই প্রস্তাব দিয়ে চিঠি দেন তিনি। ইতিবাচক কোনও সাড়া না পাওয়ায় সুনীল অরোরাকে গত ১৬ মে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন অশোক লাভাসা। তাঁর এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই নির্বাচন কমিশনের সকল সদস্যকে নিয়ে মঙ্গলবারের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Advertisment

এদিকে অন্য আরেকটি ইস্যুতে অশোক লাভাসার জেদের কাছে পরাস্ত হয়েছে কমিশন। আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি ভাঙার দায়ে নীতি আয়োগ ও প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে এর আগে কমিশন যে ক্লিন চিট দিয়েছিল, সে সিদ্ধান্ত ফের খতিয়ে দেখছে তারা।

গত সপ্তাহে কমিশনের কাছে কংগ্রেস আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ জমা দেয়। দলের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, নীতি আয়োগের অপব্যবহার করেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। তাদের অভিযোগ ছিল, নরেন্দ্র মোদীর নির্বাচনী সভার আগে গোন্ডিয়া, ওয়ার্ধা এবং লাতুর সম্পর্কে আগাম খবরাখবর নেওয়া হয়।

Advertisment

গত ১২ মে এক সাংবাদিক সম্মেলনে উপ নির্বাচন কমিশনার সন্দীপ সাক্সেনা জানান, প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কোনও ভিত্তি খুঁজে পায়নি কমিশন। তিনি এ ব্যাপারে ২০১৪ সালের ৭ অক্টোবরের একটি নির্দেশকে প্রামাণ্য হিসেবে দেখান। ২০১৪-র ওই নির্দেশ মোতাবেক সরকারি এবং ভোটের জন্য এলাকা পরিদর্শনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সংবাদ নেওয়া যেতে পারে।

অশোক লাভাসার এই ক্লিন চিটের ব্যাপারে আপত্তি ছিল। তিনি চেয়েছিলেন, নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্তের কাছ থেকে এ ব্যাপারে আরও ব্যাখ্যা চেয়ে জানতে চাওয়া হোক, সরকারের মাথারা সত্যিই গোন্ডিয়া, ওয়ার্ধা এবং লাতুরের কালেক্টরদের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছিলেন কি না এবং সে তথ্য প্রধানমন্ত্রীর পরিদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল কি না। কংগ্রেসের অভিযোগ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা এবং নির্বাচন কমিশনার সুশীল চন্দ্রের আপত্তিতে খারিজ হয়ে যায়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে পাঁচটি নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ক্লিন চিট দেওয়ার ব্যাপারে ভিন্ন মত পোষণ করেছিলেন লাভাসা। এর পর গত ১৬ মে এক চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দেন, এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের কার্যপ্রণালী থেকে অব্যাহতি নেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় আমার সামনে খোলা নেই।

election commission