/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/06/ie-evm.jpg)
উভয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং এস
EVM Controversy after Elon Musk Post: স্পেস এক্স এবং টেসলার সিইও ইলন মাস্কের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে মন্তব্যের পর, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ বিরোধী নেতারা ইভিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
ইভিএম নিয়ে ফের উঠল বিতর্কের ঝড়। রাহুল গান্ধী থেকে অখিলেশ যাদবের লাগাতার নিশানায় কমিশন থেকে কেন্দ্রের শাসকদল। শুরু চরম বিতর্ক। ইভিএম নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ইলন মাস্কের পোস্টের পর ভারতেও শুরু হয়েছে বিতর্ক। মুম্বইয়ের একটি মামলার কথা উল্লেখ করে রাহুল গান্ধী ইভিএমকে 'ব্ল্যাক বক্স'-র সঙ্গে তুলনা টেনেছেন। পাশাপাশি অখিলেশ যাদবও ইভিএমের কারচুপির সম্ভাবনা নিয়ে সরব হয়েছেন। ইভিএমের জায়গায় ব্যালট পেপারের দাবি উঠতে শুরু করেছে। এবার এই বিতর্ক ও দাবি জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক হয়ে উঠেছে।
আসলে, এই বিতর্ক শুরু হয়েছিল বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের একটি এক্স পোস্টকে কেন্দ্র করে। এই পোস্টে মাস্ক ইভিএম হ্যাকিংয়ের সম্ভাবনা এবং ইভিএম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। তাঁর এই মন্তব্যের পর কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, এসপির অখিলেশ যাদব এবং আরও অনেক দলের নেতারাও ইভিএম ইস্যুতে আক্রমণাত্মক অবস্থান নিয়েছেন।
আরও পড়ুন : < Carrier 2 ton AI Inverter Split AC: সাধারণ এসির তুলনায় এই এসি দেবে দ্বিগুণ বেশি শীতলতা, সঙ্গে পান ১০ বছরের ওয়ারেন্টি >
EVMs in India are a "black box," and nobody is allowed to scrutinize them.
Serious concerns are being raised about transparency in our electoral process.
Democracy ends up becoming a sham and prone to fraud when institutions lack accountability. https://t.co/nysn5S8DCFpic.twitter.com/7sdTWJXOAb— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 16, 2024
কংগ্রেস নেতার দাবি, "আমাদের গণতন্ত্রের স্বচ্ছতা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে"। সরাসরি নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে রাহুল বলেছেন, স্বশাসিত সংস্থাগুলি যদি দায়িত্বশীল না হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া প্রহসনে পরিণত হয়। গণতন্ত্রে প্রতারণার প্রবণতা বাড়তে পারে।"
এই বিতর্কে সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদবও নিজের মত প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে লিখেছেন, “প্রযুক্তি সমস্যা সমাধানের বদলে যদি তা সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে এর ব্যবহার বন্ধ করা উচিত। আজ, যখন বিশ্বের অনেক নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপির সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে এবং বিশ্বের নামকরা প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা ইভিএম কারচুপির বিপদ সম্পর্কে প্রকাশ্যে লিখছেন, তখন ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কেন বিজেপির জেদ তা স্পষ্ট করা উচিত। আমরা ব্যালট পেপারের মাধ্যমে আসন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি পুনর্ব্যক্ত করছি।”
ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণের মুখে এনডিএ নেতারাও কোমর বেঁধে আসরে নেমেছেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেছেন, “ জিতলে ইভিএম হিরো, হেরে গেলে ইভিএম জিরো"। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঞ্জি বলেছেন, "সুপ্রিম কোর্ট শেষ পর্যন্ত বলেছে যে ইভিএমে কোনও কারচুপির সম্ভাবনা নেই। ইভিএম কারচুপি হলে বিরোধীরা এতগুলি আসন পেত না"।