২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল তখন ভোটযন্ত্রের জালিয়াতি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় নি। তার মূল কারণ, সেই সময় ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস। দশ বছর তাদের শাসনে থাকার পর দেশবাসী তখন বিজেপির নতুন স্বাদে খুশি। এরপর ২০১৫-র শুরুতে খুব প্রচার পেয়েছিল দিল্লী বিধানসভা নির্বাচন, যেখানে আম আদমি পার্টি বিপুল ভোটে জয়ী হয়। এখানেও ভোটযন্ত্রে গোলমালের কথা কিছু শোনা যায় নি।
এরপর থেকে বেশিরভাগ রাজ্যের নির্বাচনে বেশ ভালোভাবে জিততে শুরু করে বিজেপি। তার মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য জয় নোটবাতিলের পরেই উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায়, ২০১৭-র শুরুতে। এই ফলাফলের পরেই কিন্তু মায়াবতী ভোটযন্ত্র নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তারপর থেকে বিভিন্ন নির্বাচনে উঠেছে ভোটযন্ত্র নিয়ে অবিশ্বাসের কথা। সাধারণভাবে কেউ ভোটে হারলে ভোটযন্ত্রের দোষ দেবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তাই সে অভিযোগ উঠেছে বারবার। এর মধ্যে যখন বিভিন্ন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে অথবা উপনির্বাচনে বিরোধীরা ভোটে জিতেছেন তখন অবশ্য ভোটযন্ত্র নিয়ে বিশেষ কোন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় নি। আর কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার কারণে বিজেপি জিতলেই ধন্দ বেড়েছে অনেক। গণতন্ত্রে এমনটাই স্বাভাবিক।
তবে বিষয়টি এই জানুয়ারি মাসের শেষভাগে অন্য মাত্রা পেয়েছে। তার প্রথম কারণ, ১৯ জানুয়ারি বিরোধীদের সফল ব্রিগেড সমাবেশের পর দেশব্যাপী নেতাদের চা-চক্রে চপ-মুড়ির উর্দ্ধে উঠে ভোটযন্ত্রের গোলমাল নিয়ে আলোচনা হয়েছে প্রচুর। বিষয়টাকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলেছে ২১ জানুয়ারি সন্ধেয় অন্তর্জালভিত্তিক মাফলারে মুখ ঢাকা সাংবাদিক সম্মেলন। সেখানে কোন এক সইদ সুজা ইভিএমে (ইভিএম অর্থাৎ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন, বা বাংলায় ভোটযন্ত্র) বিপুল গোলমালের তত্ত্ব পেশ করেছেন। তাঁর মতে, ২০১৪ সালে বিজেপি নাকি ভোটযন্ত্রে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছে।
যদিও এই সাংবাদিক সম্মেলন একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়, তবু সেই নিরিখে আজকের দিনে অবশ্যই এ প্রশ্ন উঠবে যে আমাদের ভোটযন্ত্র ত্যাগ করে আবার পুরনো ব্যালটের নিয়মে ফিরে যাওয়া উচিৎ কী না। ব্যালটে আমাদের দেশের নির্বাচনে কি কখনও কোনো গণ্ডগোল হয় নি? ১৯৭২-এ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের যে কথা ইতিহাসে লেখা আছে, সেখানে তো ইভিএম ছিল বলে মনে পড়ে না। আবার চৌত্রিশ বছরের একটা বড় অংশে কাগজের ব্যালটেই বামেদের কিছু কিছু বুথে অত্যাধিক বেশি ভোট পাওয়া নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিরোধীপক্ষ এবং এই বাংলার সংবাদমাধ্যম। পশ্চিমবঙ্গেই বামবিরোধীরা দাবি করেছেন যে ৪৯৯ টি বিরোধী ব্যালটের ওপরে একটি বাম ব্যালট চাপিয়ে গোটা বান্ডিলটাকে বামেদের বলে চালানো হয়েছে।
আশির দশকের অনেকটা সময় বিহার বা উত্তর প্রদেশে বুথ ধরে ধরে ব্যালটবাক্স লুঠের গল্প বহুল প্রচলিত। সম্প্রতি ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গেই পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে গোলমালের অভিযোগ উঠেছে প্রচুর। সেখানে ভোট হয়েছে ব্যালটে, ভোটযন্ত্রে নয়, এবং তীব্র অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আবার ব্যালট মানেই যে পুরোটা ভোট লুঠ এমনটা নয়। সাতাত্তরে এই ব্যালটেই বিপুল জনসমর্থনে ক্ষমতায় এসেছে সিপিএম। চুরাশিতে এই কাগজের চিহ্নতেই বিশিষ্ট বামপন্থী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে লোকসভা আসনে জিতেছেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অর্থাৎ প্রশ্নটা এখানে ব্যালটবাক্স কিংবা ভোটযন্ত্রের নয়, বিষয়টা অনেক বেশি যুক্ত স্বচ্ছ নির্বাচন পদ্ধতির সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে অবশ্যই অতি সাম্প্রতিক বাংলাদেশ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে হবে, যেখানে ব্যালটে ভোট হয়েছে। বাংলাদেশের ভোটফলে প্রত্যাশামত শেখ হাসিনা জিতেছেন। আমাদের দেশের বৈদেশিক নীতির ধারা অনুসারে আওয়ামী লিগের জয়কে ভারত সরকারের স্বাগত জানানোটাই স্বাভাবিক। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিন যে ধরণের আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ক্ষমতা বিস্তারের চেষ্টা করছে, সেই নিরিখে হাসিনাদিদি আমাদের অনেক কাছের। ৩০০-র মধ্যে আওয়ামী লিগের নেতৃত্বাধীন জোট ২৮৮ টি আসনে জিতেছে।
এটা অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব, বিশেষত বিরোধীরা যদি একজোট হতে না পারে। আওয়ামী লিগের নিজের আসন সংখ্যা ২৫৭ আর তাদের সাথী জাতীয় পার্টি (এরশাদ) পেয়েছে ২২টি আসন, বাকিগুলো ছোটখাটো কয়েকটি দল। কিন্তু এই জোটের পক্ষে ভোটের শতাংশ চোখ কপালে তুলে দিচ্ছে। শাসক জোটের জনসমর্থন প্রদত্ত মোট ভোটের ৮২ শতাংশ। ভোট ভাগের এই হিসেব অবশ্যই বাংলাদেশের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে বেমানান। ভোট সংখ্যার বিন্যাসের ভিত্তিতে একথা বলাই যায় যে বাংলাদেশে বিরোধীদের কোন অস্তিত্বই নেই। উত্তর কোরিয়া বা চিনে ভোট হয় না, ফলে সেখানকার বিরোধীদের কথা আলোচনার মধ্যেই আসে না। কিন্তু বাংলাদেশে বিরোধীদের ভোট শতাংশ প্রায় সেই পরিসংখ্যানই দিচ্ছে। আর তুলনীয় রাশিয়ার গত বছরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সেখানে পুতিন সাহেবের সমর্থন সাতাত্তর শতাংশের মত।
সরাসরি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এমনটা তাও চোখে ঠুলি লাগিয়ে মানা যেতে পারে, কিন্তু ৩০০ আসনের এক গণতান্ত্রিক নির্বাচনে শাসক জোটের পক্ষে ৮২ শতাংশ মতদান অবশ্যই জনসমর্থনের উর্দ্ধে। ৮২ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতা গণতন্ত্রে ঠিক কতটা জনসমর্থন আর কতটা দখলদারি সে পরিমাপ রাজনীতির রসায়নে করা খুব শক্ত নয়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে বারবার জানানো হয়েছে বাংলাদেশে এবারের ভোটে ব্যাপক কারচুপির খবর। ভোট শুরু হওয়ার আগেই নাকি ভূতুড়ে ব্যালটে গলা অবধি ভর্তি হয়ে গেছে ভোটবাক্স।
এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এবং তারপর ২০০৯ সাল থেকে একটানা ক্ষমতায় ছিলেন হাসিনা। শেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোট বয়কট করেছিল প্রায় সব বিরোধী দলই। এবারের ভোটে বিরোধীরা লড়লেও গতবারের মতই এবারেও প্রায় একই পরিমাণ ভোট শতাংশ অর্জন করেছে শাসকদল। আসনের সংখ্যা বেড়ে গেছে শাসক জোটের। অর্থাৎ রাশিবিজ্ঞানের নিরিখে গতবারের বিরোধীদের বয়কট এবং এবার বিরোধীদের অংশগ্রহণ ভোট বিন্যাসের অঙ্কে বিশেষ পার্থক্য ঘটাতে পারে নি।
সংসদীয় গণতন্ত্রে ঠিকঠাক নির্বাচন হলে এমনটা ঘটে না। সেই জন্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর মার্কিন দেশ কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে এবারের বাংলাদেশ নির্বাচনের। বিগত বছরগুলিতে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি সূচকে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্য করা যাচ্ছে একথা সত্যি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে মানুষের চাওয়া পাওয়ার মাত্রা এতটাই মিলে যাবে যে ৮২ শতাংশ মানুষ ভোট দেবেন প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকা শাসকদের।
ভারতের একটা বড় অংশে গণতন্ত্র নিয়ে গর্ব করি আমরা। অত্যন্ত স্বচ্ছ একটি নির্বাচন হয়েছিল দিল্লী বিধানসভায়, ২০১৫ সালে। মোট ৭০ টি আসনের ৬৭ টি জিতেছিল আম আদমি পার্টি, বিজেপি তিন আর কংগ্রেস শূন্য। সেই নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ৫৪.৩ শতাংশ পেয়েছিল আপ, ৩২.৩ শতাংশ বিজেপি আর ৯.৭ শতাংশ কংগ্রেস। অর্থাৎ সংসদীয় গণতন্ত্রে পঞ্চাশ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়ে অধিকাংশ আসনে জেতা যায় এবং সে উদাহরণ অনেক আছে।
কিন্তু বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ভোটের ভাগ যখন ৭০ কিংবা ৮০ শতাংশে পৌঁছে যায় তখন আয়নার সামনে দাঁড়ানো ছাড়া গতি নেই। ২০১৪ লোকসভা এবং ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনের হিসেবে উত্তর প্রদেশে প্রচুর আসন পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু তাদের ভোটের ভাগ ৪০ শতাংশের আশেপাশে। বিরোধীদের ভোট ভাগ হওয়ার সুবাদে আসন অনেক বেড়েছে তাদের। ভোটের এই যে বিন্যাস, তা কিন্তু মোটামুটি স্বচ্ছ নির্বাচনের পরোক্ষ প্রমাণ। এক একটি ভোটযন্ত্র আসন কে পাবে সেটা ঠিক করে না, বরং কে কত ভোট পেল সেই সংখ্যাটা জানায়। পরিসংখ্যানের বিন্যাসের নিয়মে অত্যন্ত অল্প কয়েকটি বুথে প্রদত্ত ভোটের একশো শতাংশের কাছাকাছি পেতেই পারে কোন রাজনৈতিক দল। কিন্তু বেশিরভাগ জায়গাতে জয়ী দলের ভোট শতাংশ থাকা উচিৎ গড় ভোটের আশেপাশে।
সাধারণভাবে ভারতে বহুমুখী নির্বাচন হয়, এবং সেখানে মোটামুটি প্রদত্ত ভোটের ৪৫ শতাংশ পেলেই ক্ষমতায় আসা সম্ভব। তাই এটাকে মধ্যমান ধরে বিভিন্ন বুথে জয়ী দলের ভোটের সংখ্যার বিন্যাস দেখলেই এটা পরিষ্কার বোঝা যাবে যে ভোটযন্ত্রে বিশেষ গোলমাল হয়েছে কিনা। বুথে ঢুকে ভোট লুঠের ঘটনায় কাগজের ব্যালট আর বোতামের ভোটের হাল একই হয়। সেখানে যন্ত্রের করার কিছু নেই। কোনো নির্বাচনে আধভর্তি ব্যালটবাক্সে ভোট শুরু করা আর গোলমেলে ভোটযন্ত্র ব্যবহার একই ধরণের জালিয়াতি।
তাহলে একমাত্র আলাদা প্রশ্ন হলো, কোনো দূর যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে বুথে না এসেই ভোট ওলটপালট করে দেওয়া হচ্ছে কিনা। সে বিষয়টির কিনারা করা আজকের প্রযুক্তিতে অত্যন্ত সহজ। এখনকার বিভিন্ন পরীক্ষার সময় পরিদর্শকরা এক ধরণের যন্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ান যা দিয়ে বোঝা যায় কেউ লুকিয়ে মুঠোফোন নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে কিনা। অর্থাৎ দূর যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে দুটি যন্ত্র নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারলে সেই তরঙ্গ ধরে ফেলা বা তা আটকে দেওয়ার প্রচুর উপায় আছে। সুতরাং বিজেপি রাজত্বে যে ভোটযন্ত্রের দুর্বলতায় দূর যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভোট জালিয়াতি হয়েছে এমন তথ্যের অকাট্য প্রমাণ নেই। গণতন্ত্র রক্ষা করতে গেলে সজাগ থাকা জরুরি।
পশ্চিমবঙ্গে এবং ভারতের অন্যান্য বিভিন্ন রাজ্যেও মোদী বিরোধিতার আবহে প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেপিছে "কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সঙ্গীতহারা" গোছের একটা প্রচার বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। সেই প্রেক্ষিতে প্রজাতন্ত্রের ঊনসত্তর পেরিয়ে সত্তর উদযাপনের খেয়ালে ভোটযন্ত্রকে খলনায়ক বানিয়ে লাভ নেই। ২৪ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে তারা সামনের লোকসভায় ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট সহযোগেই নির্বাচন পরিচালনা করবে। কমিশন কড়া চোখে নজর রাখতে পারলে ভোটযন্ত্র আর ব্যালটবাক্স একই ফলাফল দেবে। আর পুরোপুরি ভোট লুঠ হলেও সেই একই কথা সত্যি, সে লুঠ কেন্দ্রে বা রাজ্যে যে ভাবেই হোক না কেন। অর্থাৎ ভোটের সঠিক ফলাফল জানতে গেলে ভোটবাক্স কিংবা ভোটযন্ত্র ঠিক থাকা অবশ্য প্রয়োজন, কিন্তু সেটা ঠিক থাকলেই যে ভোট ঠিকভাবে হয়েছে এমনটা প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ট নয়।
লোকজনকে ভয় দেখিয়ে বুথে আসতে না দিলে ভোটযন্ত্র কিংবা ব্যালটবাক্সের বিশেষ ভূমিকা থাকে না। তবে আমাদের দেশটা যেহেতু পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্র, তাই ভোটযন্ত্রের নকশার সুযোগ নিয়ে বা জনগণকে ভয় দেখিয়ে বিশাল গোলমাল হলে সে খবর ঠিক প্রকাশ পাবে। তার জন্যে বিদেশে বসে থাকা মুখে মাফলার জড়ানো নজরদারের অন্তর্জাল থেকে উঁকি দেওয়ার দরকার নেই। মাঠে ময়দানে ভারতের ৮১ কোটির বেশি ভোটদাতা ভালোই লড়ছেন। তার মধ্যে সামনের লোকসভা নির্বাচনে অবশ্যই ৫০ কোটির বেশি মানুষ ভোট দেবেন। তাদের জন্যেই আমাদের দেশে ব্যালটবাক্সই হোক কিংবা ভোটযন্ত্র, ভোটই হোক বা ভোটার, সবাই অনেক বেশি সুরক্ষিত। সাধারণতন্ত্র দিবসে তাই দিল্লীর রাজপথে সারি দিয়ে যুদ্ধাস্ত্র প্রদর্শন নয়, আমাদের শক্তি ১৩০ কোটির আত্মবিশ্বাস।
(লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত)