Advertisment

গান্ধী পরিবার কংগ্রেসের গলার ফাঁস হয়ে গেছে: জেটলি

তিনি বলেন, "বংশপরম্পরার পার্টি, জাতভিত্তিক পার্টি এবং বিরুদ্ধতাবাদী বামেরা ২০১৪ সালে ধাক্কা খেয়েছিল। ২০১৯-এও তাই-ই হবে, জোরের সাথে, স্পষ্ট ভাবে।" 

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Arun Jaitley, GST

জিএসটির দুবছর পূর্ণ হল

এক্সিট পোলের ফলের সঙ্গে লোকসভা ভোটের ফল যদি মিলে যায়, তাহলে বিরোধীদের ইভিএম নিয়ে তোলা ভুয়ো ইস্যু ফাঁপা হয়ে পড়বে। সোমবার এ কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি।

Advertisment

একটি ফেসবুক পোস্টে জেটলি বলেছেন, এক্সিট পোল নির্ভর করে ব্যক্তিগত সাক্ষাৎকারের উপর। এ ব্যাপারে ইভিএমের কোনও ভূমিকা থাকে না। যদি এক্সিট পোলের ফলের সঙ্গে ২৩ মে-র ফল একই দিকে নির্দেশ করে তাহলে ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের তোলা ভুয়ো ইস্যু যুক্তিহীন হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন, এক্সিট পোলে ভরসা নেই কোনও পক্ষেরই

প্রায় সব এক্সিট পোলেই মোদীর প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, কেউ কেউ বলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৩০০র বেশি আসন পেতে চলেছে। রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সিট পোলের ফলকে এসব "ইভিএম সরিয়ে ফেলা বা কারচুপি ঘটানোর জন্য মোদীর গেমপ্ল্যান" বলে উল্লেখ করেছেন।

জেটলি তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, ২০১৪র ভোটের ফলের সঙ্গে এবারের এক্সিট পোল মিলিয়ে দেখলে দেখা যাবে ভারতীয় গণতন্ত্র ব্যাপক সাবালকত্ব লাভ করেছে। তিনি বলেছেন, "নির্বাচকরা ভোট দেওয়ার আগে জাতীয় স্বার্থের বিষয়টিকে মাথায় রেখেছেন। যখন বড়সংখ্যক জনতা একই আইডিয়া সামনে রেখে একই দিকে ভোট দেন, তাতে একটা ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়।"

আরও পড়ুন, তিন রাজ্যের এক্সিট পোলের আভাসে তারতম্য! শেষ পর্যন্ত দিল্লিতে কে?

নিজের বক্তব্যের সমর্থনে তিনি বলেন, "বংশপরম্পরার পার্টি, জাতভিত্তিক পার্টি এবং বিরুদ্ধতাবাদী বামেরা ২০১৪ সালে ধাক্কা খেয়েছিল। ২০১৯-এও তাই-ই হবে, জোরের সাথে, স্পষ্ট ভাবে।"

একাধিক এক্সিট পোলের সঙ্গে ভোটের ফল যে সঙ্গতিপূর্ণ হবে, সে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেছেন, "আমাদের মধ্যে অনেকেই এক্সিট পোলের যাথার্থ্য এবং সঠিকতা নিয়ে তর্ক চালিয়ে যেতে পারি। কিন্তু সত্যি কথা হল, একাধিক এক্সিট পোল যখন একই বার্তা বহন করছে, তখন ফল সেই বার্তার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণই হবে।"

আরও পড়ুন, বিজেপির ভাল ফলের আভাস বাংলার বুথফেরত সমীক্ষায়, ষড়যন্ত্র দেখছেন মমতা

তিনি বলেন, "২০১৪ সালের মত ২০১৯ সালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রচারে লাভ হয়নি বিরোধীদের। নেতাদের বিচার করা হয় কাজ দিয়ে, জাত কিংবা বংশ দিয়ে নয়। ফলে প্রধানমন্ত্রী জাতের ঊর্ধ্বে উঠে প্রচার এবং কাজের উপর মনোযোগ দেওয়া নির্বাচকদের কাছে বেশি আকর্ষণ করেছে।"

গান্ধী পরিবারকে এক হাত নিয়ে জেটলি বলেছেন, শতাব্দী প্রাচীন দলের কাছে এই পরিবার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। "আমি আমার আগের কথাই ফের বলতে চাই, কংগ্রেসের প্রথম পরিবার তাদের দলের কাছে আর সম্পদ নয়, বরং গলার ফাঁস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিবার ছাড়া ওদের লোক জমায়েত হবে না, এ পরিবারকে সঙ্গে নিলে ভোট আসবে না।"

ভোটাররা আর বিরোধীের কোয়ালিশনের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেছেন জেটলি।

Read the Full Story in English

General Election 2019
Advertisment