লোকসভা ভোটের আগে ফের কংগ্রেসে বিরাট ধাক্কা। হিমাচলের ৬ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন পদ্মশিবিরে যোগ দিয়েছেন তিন নির্দল বিধায়কও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের উপস্থিতিতে তারা সকলেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন।
হিমাচল প্রদেশের ছয় বিদ্রোহী কংগ্রেস নেতা হলেন- সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর, রাজিন্দর রানা, ইন্দর দত্ত লখনপাল, চৈতন্য শর্মা এবং দেবেন্দর কুমার ভুট্টো। পাশাপাশি তিনজন নির্দল বিধায়কও এদিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'এই সকল নেতারা সাম্প্রতিক রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন, যা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে "জনগণের ক্ষোভ"কে প্রতিফলিত করে।' উল্লেখ্য বিদ্রোহী বিধায়করা হিমাচলের রাজ্যসভা নির্বাচনে 'ক্রস ভোট' দিয়েছিলেন। এরপর এই ৬ বিধায়ককে বহিষ্কার করেন বিধানসভার স্পিকার।
সাম্প্রতিক রাজ্যসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশে বিজেপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট দিয়েছেন এমন তিন নির্দল বিধায়ক শুক্রবার বিধানসভা সচিবের কাছে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এই বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন আশিস শর্মা (হামিরপুর নির্বাচনী এলাকা), হোশিয়ার সিং (দেহরা) এবং কে এল ঠাকুর (নালাগড়)৷
তিনজনই শুক্রবার সিমলায় বিরোধী দলীয় নেতা জয় রাম ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেন এবং তারপর তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। হোশিয়ার সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। আমরা বিজেপিতে যোগ দেব এবং দলের টিকিটে নির্বাচনে লড়ব। বিধায়কদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বিধায়ক ও তাদের পরিবারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করছেন।
হিমাচলের বিধানসভা গঠন
বর্তমানে হিমাচলে কংগ্রেসের ৩৪ জন বিধায়ক রয়েছে এবং বিজেপির ৩৫ জন বিধায়ক রয়েছে। শনিবার, ৯ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন এবং সেই সমস্ত আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি এই ৯ টিতে তারা জয়ী হয়, তবে সেই পরিস্থিতিতে বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা বেড়ে হবে ৩৪। সেই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস এবং বিজেপি সমান অবস্থানে থাকবে।