বরাবর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য কুখ্যাত তিনি। বিহার নির্বাচনের প্রাক্কালে ফের বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ এবার নিশানা করেছেন কংগ্রেসের প্রার্থী মাশকুর উসমানিকে। শুক্রবার দ্বারভাঙার জালে বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীকে মহম্মদ আলি জিন্নার সমর্থক বলে তোপ দেগেছেন গিরিরাজ। তাঁর অভিযোগ, মহাজোটের এই নেতা পাকিস্তানের জনক জিন্নার অনুগামী। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই বিতর্ক বাড়ালেন গিরিরাজ।
এদিন নিজের নির্বাচনী অফিসে বসে সাংবাদিকদের বলেন, "মহাজোটের উচিত উসমানির প্রার্থীপদ নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। যে কিনা জিন্নার সমর্থক, তাঁকে কী করে প্রার্থী করে কংগ্রেস?" "তাহলে কি এবার দেশদ্রোহিতার অভিযোগে ধৃত শারজিল ইমাম মহাজোটের তারকা প্রচারক হবে?" প্রশ্ন গিরিরাজের। অলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সংসদ সভাপতি উসমানি দ্বারভাঙার বাসিন্দা। ২০১৯ সালে আলিগড়ে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা হয়েছিল উসমানির বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরে পুলিশ জানতে পারে, সেইসময় দিল্লিতে ছিলেন উসমানি। ২০১৮ সালে ছাত্র সংসদের অফিস থেকে জিন্নার ছবি সরানো নিয়ে সেই সময় তুলকালাম হয় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিজেপি সাংসদ উসমানি এবং তাঁর সঙ্গীদের দেশদ্রোহী তকমা দিয়ে জিন্নার ছবি সরানোর জন্য দাবি জানান। কিন্তু উসমানির পাল্টা বক্তব্য ছিল, জিন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন লালুর দল ক্ষমতায় ফিরলে কাশ্মীরের জঙ্গিরা বিহারে আশ্রয় নেবে: কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
গিরিরাজের কটাক্ষের পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তারা বিজেপিকে কোনওমতেই উন্নয়নের ইস্যু থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে দেবে না। উসমানি যদি দোষী হয় তাহলে কেন্দ্র তাঁকে শাস্তি দিক বলে দাবি কংগ্রেসের। বিহার প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র রাজেশ রাঠোর বলেছেন, "ভুলভাল কথা বলা লোকদের পাত্তা দিতে চাই না। মহামারীর সময় গিরিরাজ ৬ মাস নীরব ছিলেন। আমাদের প্রার্থী না তো দোষী সাব্যস্ত হয়েছে, না তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিজেপি তো কেন্দ্রে ক্ষমতায়, কাহলে আমাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করুক।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন