New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/04/ie-mp-modi.jpg)
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন, মধ্যপ্রদেশের মোরেনায়, বৃহস্পতিবার, 25 এপ্রিল, 2024। (পিটিআই ছবি)
লোকসভা ভোটের প্রচারে বারে বারে মোদীর ভাষণে শোনা গিয়েছে ৪০০ পারের স্লোগান। তিনি তাঁর সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ানকে তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারে বারেবারে ৪০০-আসন পারের স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফার ভোট মিটতেই বদলে যায় অঙ্ক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লোকসভা নির্বাচনের জন্য একটি জনসভায় ভাষণ দিচ্ছেন, মধ্যপ্রদেশের মোরেনায়, বৃহস্পতিবার, 25 এপ্রিল, 2024। (পিটিআই ছবি)
লোকসভা ভোটের প্রচারে বারে বারে মোদীর ভাষণে শোনা গিয়েছে ৪০০ পারের স্লোগান। তিনি তাঁর সরকারের গত ১০ বছরের উন্নয়নের খতিয়ানকে তুলে ধরে নির্বাচনী প্রচারে বারেবারে ৪০০-আসন পারের স্লোগান দিয়েছেন। কিন্তু প্রথম দফার ভোট মিটতেই বদলে যায় অঙ্ক।
প্রথম দফার ভোটের পর একাধিক জনসভায় মোদী উন্নয়নের রাজনীতিকে সামনে রেখে ৪০০ পারের স্লোগানের বদলে অনগ্রসর শ্রেণির অধিকার রক্ষার্থে মোদী সরকারের ফিরে আসা এবং তার জন্য ৪০০ আসনের গুরুত্বের কথা শোনা যায় তাঁর গলায়। প্রথম দফার ভোটের আগে পর্যন্ত তার নির্বাচনী সমাবেশে ৪০০ পারের স্লোগান স্রেফ দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মোদী উল্লেখ করলেও এখন তা ব্যবহার করা হচ্ছে সংরক্ষণের কথা, দলিতদের অধিকারের প্রসঙ্গ টেনে এনে।
মধ্যপ্রদেশে এক নির্বাচনী জনসভায় ভাষণে মোদী বলেছেন তিনি কেন ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পার করতে চান? এর পিছনে লুকানো উদ্দেশ্য কী? তাঁর সফরের সময় মধ্যপ্রদেশের সাগরে একটি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে বিজেপি ক্রমাগত কংগ্রেসের তুষ্টির রাজনীতির বিরোধীতা করে আসছে। বিজেপি দলিত-অনগ্রসর শ্রেণির অধিকার সংরক্ষণ করতে চায়। সেই লক্ষ্যেই ৪০০ আসন পার খুবই জরুরি।
দেশজুড়ে চলছে গণতন্ত্রের মহা উৎসব। এই মহা উৎসবের দ্বিতীয় দফার ভোটপর্ব গতকাল শেষ হয়েছে। এখন বাকি ধাপের প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দলগুলি। বুধবার মধ্যপ্রদেশের সাগরের বারতুমায় এক জনসভায় ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন। পাশাপাশি তিনি ভাষণে দেশের জনসাধারণের কাছে উল্লেখ করেছেন বলেছে কেন দেশের জন্য মোদী সরকারের প্রয়োজন?
কেন ৪০০ আসনের প্রয়োজন? কী বললেন মোদী?
সাগরে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী প্রথম ঘোষণা করেছিলেন যে আগামী ৫ বছরের জন্য দরিদ্র পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার কথা। আরও বলেছেন যে এখন মোদী সরকার "আয়ুষ্মান ভারত যোজনা"-এর অধীনে ৭০ বছরের বেশি বয়সীদের চিকিত্সার যাবতীয় খরচ বহন করবে। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে উল্লেখ করেন কেন বিজেপির ৪০০-এর বেশি আসন প্রয়োজন? তিনি বলেন, 'কংগ্রেস দেশে কর লুট করতে চলেছে। শুধু তাই নয়, কংগ্রেস ওবিসির সবচেয়ে বড় শত্রু। এই দল তাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সামাজিক কাঠামোকে হত্যা করেছে। কংগ্রেস সংরক্ষণ নিয়ে চুরির খেলা খেলছে'।
কংগ্রেস মানুষের সম্পত্তি কেড়ে নিতে চায়
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলিত, শোষিত ও ওবিসি শ্রেণির জন্য সংরক্ষণের জন্য মোদীর ৪০০ টি আসন প্রয়োজন। এটাই বিজেপির লক্ষ্য। তিনি যে কোনো মূল্যে ৪০০ পেরোতে চান। যাতে তিনি SC/ST, OBC এবং অন্যান্য শ্রেণীর অধিকারকে সুরক্ষিত করতে পারেন। মোদী বলেন, কংগ্রেসের একটি গোপন রহস্য আজ উন্মোচিত হয়েছে। উত্তরাধিকার করের মাধ্যমে কংগ্রেস পৈতৃক সম্পত্তিও দখল করতে চায় এমনও অভিযোগ করেন তিনি ।
কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ করতে চায়
এতেই না থেমে মোদী আরও বলেন,'কংগ্রেস রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করেছে'। তিনি বলেছিলেন যে সংবিধানে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছে। কংগ্রেস ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের বিপজ্জনক খেলা খেলছে। কংগ্রেস বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছে। জনগণের চোখে ধুলো দিচ্ছে কংগ্রেস।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংবিধান স্পষ্ট বলেছে যে ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না। বাবা সাহেব আম্বেদকর নিজেই এর বিরুদ্ধে ছিলেন। মোদী অভিযোগ করেন রেজুলেশন বাস্তবায়নে কংগ্রেস নানান কৌশল অবলম্বন করছে।
'ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে কংগ্রেস'
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওবিসি সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগও তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, "কংগ্রেস বেআইনি কারসাজির আশ্রয় নিয়েছে এবং ওবিসি সম্প্রদায়কে প্রতারণা করেছে। তারা সব মুসলমানকে একই কোটায় বসিয়েছে। এটা করে তারা ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। কংগ্রেস ওবিসিদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সামাজিক ন্যায়বিচারকে হত্যা করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের এই পরিকল্পনা আটকাতে মোদীর ৪০০ আসন প্রয়োজন।
মোদী বলেন, আমাকে দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসও আপনার সম্পত্তি কেড়ে নিতে চায়। আপনার লকারে কী আছে তা কংগ্রেস খুঁজে বের করবে,কংগ্রেস সব ছিনিয়ে নিতে ব্যস্ত। সে আপনার কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নিয়ে তার ভোট ব্যাংকে দিতে চায়। তাদের গোপন এজেন্ডা বেরিয়ে এসেছে।