Advertisment

চাইলেই গদ্দারকে ধরিয়ে দিতে পারতাম, মন্তব্য ক্ষুব্ধ মমতার

Lok Sabha Election 2019: মমতা বলেন, "বিজেপিতে যোগ দিয়ে যিনি এতো কথা বলছেন তিনি নিজে তো সারদা-নারদায় অভিযুক্ত হাওয়ালার দালাল, মোদীর একনম্বর লোক তিনি এখন"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata, mukul, মমতা, মুকুল, মুকুলের খবর, মুকুল রায়, মুকুলের বিস্ফোরক অভিযোগ, মুকুলের অভিযোগ

মমতা ও মুকুল।

General Election 2019: তৃণমূল বিধায়করা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, মঙ্গলবার শ্রীরামপুরের সভায় এমন মন্তব্যই করেছিলেন মোদী। মোদীর হুঙ্কার, ‘‘আপনার ৪০ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে’’। এতেই শেষ নয়, মোদী হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘২৩ মে-র পর চারদিকে যখন পদ্মফুল ফুটবে, দেখবেন আপনার বিধায়করা আপনাকে ছেড়ে পালাবে’’। বুধবার ভদ্রেশ্বরের জনসভা থেকে মোদীকে জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এছাড়া, 'দল বদলের কান্ডারী' মুকুল রায়কেও নাম না করে তীব্র আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisment

লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে 

এদিন মমতা বলেন, ‘‘আপনাদের জেলায় কাল এসে উনি (মোদী) বলেছিলেন ৪০ জন বিধায়ককে ভাঙাবেন। লজ্জা করে না! নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে বেচা-কেনা করছ! যাকে নিয়ে নেওয়ার নিয়ে যাও। কিচ্ছু যায় আসে না। একটা পেলে জোগাড় করো। তোমার দলের মতো আমার দল চোর নয়। তোমার দল টাকার বিনিময়ে চলে, আমার দল রক্তের বিনিময়ে চলে। আমরা একটা গেলে ১ লক্ষ তৈরি করি, তৈরি করার মানসিকতা রয়েছে’’। উল্লেখ্য, মোদীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল।

আরও পড়ুন- মোদীর সঙ্গে ‘যোগাযোগ রাখছেন’ মমতার ৪০ বিধায়ক! কী হবে ভবিষ্যতে?

মোদীর উদ্দেশে তোপ দাগার পাশাপাশি এদিন নাম না করে মুকুল রায়কেও এক হাত নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। এক সময়ের 'ডান হাত' মুকুলের নাম না করে 'গদ্দার' বলে উল্লেখ করেন তিনি। মমতা আরও বলেন, "বিজেপিতে যোগ দিয়ে যিনি এতো কথা বলছেন তিনি নিজে তো সারদা-নারদায় অভিযুক্ত হাওয়ালার দালাল, মোদীর একনম্বর লোক তিনি এখন। পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে গেছে"। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আরও বলেছেন, "চাইলে আমি ওনাকে (মুকুলকে ইঙ্গিত) ধরিয়ে দিতে পারতাম, কিন্তু নির্বাচন চলছে বলে ওনাকে 'টাচ' করতে বারণ করেছি আমি। অন্য কেউ হলে এখনই গ্রেপ্তার করে নিত"।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৃণমূল দল গড়ার সময় মমতার সঙ্গে যারা ছিলেন, তাঁদের অন্যতম মুকুল রায়। এরপর যত দিন গিয়েছে, ততই তৃণমূলে গুরুত্ব বেড়েছে মুকুলের। কিন্তু, সারদা-নারদা তদন্তের মধ্যেই মুকুল-তৃণমূল সম্পর্কে ছন্দ পতন। এই দুই ঘটনায় মুকুলের নাম জড়িয়ে যাওয়ার পর তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে মুকুলের। এরপরেই মুকুলের দল বদল। পরবর্তীতে বিভিন্ন জনসভায় মমতা এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক বন্দোপাধ্যায় দাবি করছিলেন নিজের পিঠ বাঁচাতেই বিজেপিতে নাম লেখান মুকুল।

আরও পড়ুন ‘১টা গেলে ১ লক্ষ তৈরি হবে’, মোদীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন মমতা

তবে ভোটের মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্যকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। তাঁদের দাবী, গত বছর মুকুলের হাত ধরেই দল বদল করে অনুপম হাজরা, সৌমিত্র খাঁ, অর্জুন সিংয়েরা। ভোটের বেশ কিছুদিন আগে রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্তের বাড়িতে মুকুলের লুচি-আলুরদম খেতে যাওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য-রাজনীতি। কান পাতলে শোনা যাচ্ছে তৃণমূলের বেশ কয়েকজন পদ্মমুখী নেতার নামও। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। উল্লেখ্য, মোদীর ৪০ বিধায়ক সম্পর্কিত মন্তব্যের পর যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনুপম হাজরা বুধবার বলছেন, ‘‘মোদী যে ৪০ জন বিধায়কের কথা বলেছেন, তার মধ্যে ৫-৭ জন আমার তরফ থেকে’’। সবমিলিয়ে মেগা দলবদলের জল্পনা নিয়ে সরগরম বাংলার রাজনীতি।

Mamata Banerjee mukul roy narendra modi
Advertisment