বিহারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে এনডিএ এবং মহাজোটের মধ্যে। এনডিএ আসন সংখ্যায় ম্যাজিক ফিগারে এগিয়ে থাকলেও ঘাড়ে কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মহাজোট। তবে স্বস্তির খবর নয় নীতীশ কুমারের জন্য। এককভাবে তাঁর দল জেডিইউ এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে নেমে গিয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে একক বৃহত্তম দল হওয়ার দৌড়ে বিজেপি এবং আরজেডি। বিজেপি একক বৃহত্তম দল হয়ে গেলে তাহলে কি গেরুয়া শিবির নীতীশকে প্রতিশ্রুতি মতো মুখ্যমন্ত্রী করবে, না কি কথার খেলাপ করবে, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তার জেরে শিবসেনা আসরে নেমে পড়েছে। মহারাষ্ট্রের শাসকদলের সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কটাক্ষ, কম আসনে জিতেও যদি নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয় তাহলে তাঁর উচিত শিবসেনাকে ধন্যবাদ জানানো।
গতবছরের মহানাটকের পর মহারাষ্ট্রে শিবসেনা এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে আদর্শগতভাবে বিরোধী এনসিপি এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করে। সঞ্জয় রাউত সেই প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, এমনটা তখনই হয় যখন কেউ কথার খেলাপ করে। তাও আবার জৌটসঙ্গী। বিজেপির বিরুদ্ধে শিবসেনা অভিযোগ তুলেছিল, আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়েও পরে কথার খেলাপ করে বিজেপি। তাই জোট ভেঙে বেরিয়ে আসে শিবসেনা। রাউত বলেছেন, "আমি টিভিতে শুনছি, বিজেপি কর্মীরা বলছেন নীতীশবাবুই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। নীতীশবাবু এর জন্য আমাদের ধন্যবাদ জানানো উচিত। বিহারে অন্তত কথার খেলাপ হবে না। কারণ, সেটা হলে কী হয় বিজেপিকে হাড়ে হাড়ে টের পাইয়েছিল শিবসেনা। মহারাষ্ট্রের কথা না রাখলে কী হয় সবাই জানে।"
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ৫৬টি আসনে জয় পায়। কিন্তু ফলাফলের পরে তারা দাবি করে, জোটসঙ্গী বিজেপিকে এবার তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে। সেই প্রতিশ্রুতি ছিল, আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব। কিন্তু বেঁকে বসে বিজেপি। ১০৫টি আসনে জেতা বিজেপি দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকেই মুখ্যমন্ত্রী করার বিষয়ে অনড় থাকে। তখন জো় ভেঙে বেরিয়ে আসে শিবসেনা, এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করে তারা। সেই কথা মাথায় আছে বিহার বিজেপির, এমনটাই দাবি রাউতের। তাই কম আসনে জেতা জেডিইউয়ের নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী করলে শিবসেনাকে ধন্যবাদ জানানো উচিত পথ দেখানোর জন্য, মনে করেন রাউত।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন