কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বেনজির আক্রমণ তৃণমূল সুপ্রিমোর। পাশাপাশি ভোটের কাজে কর্তব্যরত রাজ্যপুলিশের একাংশের সঙ্গে বিজেপির সঙ্গে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং’-এর অভিযোগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ভোটের আবহে যা গিরে আপাতত তুঙ্গে রাজনৈতিক উত্তেজনা। মুখ্যমন্ত্রীর নিদানের তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে 'সংবিধান বিরোধী' বলে তোপ দেগেছে বিজেপি।
মমতার অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা অশান্তি করছেন। বহু গ্রামে ঢুকে মহিলাদের ভোট দিতে যেতে বাধা দিচ্ছেন। এই প্রসঙ্গেই কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুখে দেওয়ার দাওয়াইয়ের কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর নিদান, 'মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া উচিত। সিআরপিএফের তাদের বাধা দেওয়া উচিত নয়। আমি সিআরপিএফকে সম্মান করি। যারা সত্যিকারের সিআরপিএফ জওয়ান তাদের সম্মান করি। তবে, বিজেপির সিআরপিএফকে সম্মান করি না। কেন্দ্রীয় জওয়ানরা অশান্তি করতে এলে একদল ওদের ঘিরে ফেলুন। আরেক দল ভোট দিতে যান। কারা এই কাজ করছে, তাদের নাম লিখে রাখুন।' তারপর ঘেরাওয়ের অর্থ স্পষ্ট করেছেন নেত্রী। বলেছেন, 'এই ঘেরাও মানে কথা বলে আটকে রাখা।'
আরও পড়ুন- ‘ক্যাশ ফর ভোট’, বিজেপির বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তৃণমূলের
এরপরই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'যতক্ষণ ইভিএম সিল না হচ্ছে বাড়ি যাবেন না। যতক্ষণ ইভিএম যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে না পৌঁছানো পর্যন্ত একদম বাড়ি যাবেন না। পুলিশ যদি বলে আপনারা বাড়ি চলে যান আমরা দেখছি, একদম বিশ্বাস করবেন না। কারণ ইলেকশনের সময় পুলিশ পুরো বিজেপির হয়ে যায়। আমি অনেক জায়গায় দেখেছি। বিজেপির সঙ্গে পুলিশের আন্ডারস্ট্যান্ডিং রয়েছে। কালকে (তৃতীয় দফউার ভোটে) আরামবাগ দেখে নিয়েছি। আরামবাগের ওসির ভূমিকাও দেখেছি। আমরা চাই শান্তিপূর্ণ ও অবাধ ভোট’।'
তৃণমূীল সুপ্রিমোর সিআরপিএফ ঘেরাও দাওয়াইয়ের বিরুদ্ধে সরব বিজেপি। ফাঁসিদেওয়ার প্রচারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেছেন, 'উনি দেশ বিরোধী ও সংবিধান বিরোধী। তবে, এ খেলা চলবে না। হেরে যাওয়ার ভয়েই উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। কমিশনের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। এবার সিআরপিএফ-দের ঘেরাওয়ের কথা বলেছেন। বাংলা এবার আসল পরিবর্তনের পক্ষেই রায় দেবে তা স্পষ্ট হচ্ছে।'
এদিন বিকেলে বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া নির্বাচন কমিশনে গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সিআরপিএফ সংক্রান্ত মন্তব্য নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন