বিধানসভা নির্বাচনের মুখে প্রচারে ঝড় তুলেছেন বিহারের তাবড় নেতা-নেত্রীরা। কিন্তু রাজ্যবাসীর স্বার্থের থেকে একে অপরকে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি, নিশানা করায় ব্যস্ত সবাই। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই বিরোধী রাষ্ট্রীয় জনতা দলকে তোপ দেগে বলেন, আরজেডি বিহারে ক্ষমতায় ফিরলে কাশ্মীরের জঙ্গিরা এখানে আশ্রয় নেবে। বৈশালীতে একটি নির্বাচনী প্রচারে তিনি বলেন, "আরজেডির সরকার যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কাশ্মীরের জঙ্গিরা বিহারে এসে আশ্রয় নেবে। এমনটা আমরা হতে দেব না।"
নিত্যানন্দ রাইয়ের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে। আরজেডির মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তেজস্বী যাদব পাল্টা কটাক্ষ করে বলেছেন, নির্বাচন মূল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর জন্য এসব বলছে বিজেপি-জেডিইউ। তিনি বলেছেন, "বিহারে বেকারত্বের হার ৪৬.৬ শতাংশ। বেকারত্ব, দারিদ্রতা, অনাহার, পরিযায়ীদের আতঙ্ক নিয়ে কী বলবেন উনি? গত ১৫ বছরে ওদের ডবল ইঞ্জিন সরকার কী করেছে বিহারের জন্য, মূল ইস্যু থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা ছাড়া এসব আর কিছুই না। কিন্তু আমরা ইস্যু নিয়েই নির্বাচনে লড়ব।"
আরও পড়ুন বিহার নির্বাচন: মোদীর বক্তব্য প্রচারে বিজেপির চার লক্ষ ‘স্মার্টফোন ওয়ারিয়ারস’
নিত্যানন্দের মন্তব্যে ব্যথিত আরজেডির রাজ্যসভার সাংসদ মনোজ কুমার ঝা বলেছেন, "প্রত্যেক বিহারি মন্ত্রীর কথায় আহত এবং অপমানিত। তাঁর মন্তব্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতর নিয়েও গুরুতর অভিযোগ তুলে দিল।" তবে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েছেন বিহার বিজেপির পর্যবেক্ষক ভুপেন্দ্র যাদব। তিনি নিত্যাননন্দের মন্তব্যের সাফাইয়ে বলেছেন, "কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মন্তব্যের অর্থ ছিল, বিজেপি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর হাতে লড়াই করছে। নিজের মন্তব্যকে জাতীয় সুরক্ষার খাতিরেই বলেছিলেন নিত্যানন্দজি।"
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ঠিক একইরকম মন্তব্য করেছিলেন তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। বলেছিলেন, বিহারে যদি বিজেপি হারে তাহলে পাকিস্তানে বাজি ফাটিয়ে উৎসব করা হবে। সেবার নীতীশ-লালুর জোট বিহারে ক্ষমতায় আসে। সেবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডিএনএ-তে সমস্যা রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছিলেন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন