বাংলায়জুড়ে অব্যাবহ ভোট পরবর্তী হিংসা। বিরোধিরা দুষছে শাসক শিবিরকে। পাল্টা বিরোধী দলগুলোকেই দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। হিংসা নিয়ে জারি রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এরই মাঝে বুধবার শপথ নেওয়ার পরই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'বাংলা হিংসা পছন্দ করে না। সবাই সান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। না হলে পদক্ষেপ করা হবে।'
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
শপথের পরই এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেই কোভিড মোকাবিলাই তাঁর সরকারের আগ্রাধিকার। এনিয়ে দুপুরেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে বিশেষ বৈঠক হবে।
এরপরই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মমতা। কোভিড মোকাবিলার সঙ্গেই রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখাও যে তাঁর অন্যতম লক্ষ্য তাও চড়া সুরে স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, 'কোথাও কোথাও ভোটের পরে গোলমাল হয়েছে। সব রাজনৈতিক দলকে বলব শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখুন। বাংলা অশান্তি পছন্দ করে না। কেউ কোথাও অশান্তি করবেন না। কেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হবেন না। হিংসা ছড়ালে সরকার কড়া পদক্ষেপে পিছপা হবে না।'
রাজভনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপালের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য বিজেপিকেই দায়ী করেছেন। তাঁর কথায়, 'গত কয়েক মাস রাজ্য প্রশাসন ভোটের কারণে কমিশনের নির্দেশে চলছিল। ফলে পুরো ব্যবস্থাটাই কার্যত ভেঙে পরেছে।আজই প্রয়োজন মতো প্রশানিক রদবদল করব।'
মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পরই রাজ্যপালও বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের আবেদন জানান। মমতাকে 'ছোট বোন' বলে সম্বোধন করেন জগদীপ ধনকড়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই রাজধর্ম পালন করে রাজ্যে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন বলে আশাপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'পর পর তিন বার ক্ষমতায় আসার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। শুভেচ্ছা জানাই। তবে এই মুহূর্তে রাজ্যে অহেতুক হিংসা বন্ধ করাই প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। কারণ এর ফলে সমাজের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মুখ্যমন্ত্রীর উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আশা করি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেত শীঘ্রই ব্যবস্থা নেবেন তিনি'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন