তিন দফায় ৬৮-৭০ আসন জয়ের অমিত শাহর দাবি নস্যাৎ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানালেন খুব বেশি হলেও প্রথম তিন দফায় ২৫-৩০টিতে জয় পেতে পারে গেরুয়া ব্রিগেড।
Advertisment
২০০ আসন জয় করে বাংলা দখলের স্বপ্নে বিভোর বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার সিঙ্গুর, ডোমজুড় আর বালিতে রোড শো-য়ের ফাঁকে গেরুয়া শিবিরের 'চাণক্যে'র দাবি, 'তিন দফায় ৯১টি আসনের মধ্যে ৬৮-৭০টি আসন পাবে বিজেপি। বাকি আসন ভাগ করবে কংগ্রেস, তৃণমূল আর কম্যুউনিস্টরা।'
সন্ধ্যায় যাদবপুর বিধানসভার বাঘাযতীনের প্রচার সভায় শাহী দাবির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার উদাহরণ তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাদ্যায়। বলেন, '২০১৮ সালে ছত্তিশগড়ে ৬৫ আসান পাবো বলে মাত্র ১৮টা পেয়েছিলো বিজেপি। ২০১৯ -এ ঝাড়খণ্ডে ৮১টির মধ্যে সবকটা পাবো বলে পেয়েছিলো ২৫টা। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশেও ওরা পারেনি। দিল্লিতে ৭০টা পাবো বলে তো পেল মাত্র ৮টা। তাই বলি বাংলায় প্রথম দিন দফায় বিজেপি খুব বেশি হলে ২৫-৩০টা আসন পেতে পারে। তাও সেগুলো পাবে কংগ্রেস-সিপিএমের মদতে। এবার আমরা পল বালো করবো।'
অর্থাৎ তৃণমূল নেত্রীর কথায়, বাংলার প্রথম তিন দফার ভোটে জোড়া-ফুল ৬১-৬৬টা আসন পেতে পারে।
কোন দফায় কে কটা আসন পেতে পারে বা কে পেরোবে ২০০-র বেশি আসন। তা নিয়ে ভোটের বাংলায় যুযুধান তৃণমূল-বিজেপির মধ্য়ে তরজা তুঙ্গে। দুই শিবিরের হেভিওয়েটরাই দাবি করছে ২০০-র বেশি কেন্দ্র জয়ের। ভোট মহারণে একে অপরের বিরুদ্ধে মনস্তাত্বিক চাপ বাড়াতেই শাসক-বিরোধী শিবির আগ বাড়িয়ে বেশি করে আসন জয়ের কথা বলছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
যাদবপুরের প্রচারেও সিআরপিএফ-কে নিশানা করেন মমতা। রাজ্য পুলিশের একাংশের সঙ্গে বিজেপির 'সেটিং' এর অভিযোগ তোলেন তিনি। কমিশন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে চলছে বলেও তোপ দাগেন তৃণমূল নেত্রী। সাফ বলেন, 'আমার কারোর সমর্থন চাই না, মানুষের সমর্থনে আমি একা লড়াই করবো।'