দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতারির পর ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ তুলেছে আম আদমি পার্টি (আপ)। দলের তরফে শনিবার (২৩ মার্চ, ২০২৪) দাবি করা হয়েছে বিজেপি দিল্লির কথিত মদ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সংস্থাগুলির কাছ থেকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে রাজনৈতিক অনুদান পেয়েছে। দলের তরফে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আপ মন্ত্রী ও দলের নেতা অতীশি বলেন- এই মামলার 'মানি ট্রেইল' এখন প্রকাশ্যে এসেছে। সমস্ত টাকা ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) অ্যাকাউন্টে গেছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তার ডান হাত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) এই মামলায় বিজেপির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার এবং বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গ্রেফতারির দাবি জানাচ্ছি।
অতীশি বলেন, "আফগারি দুর্নীতির অভিযোগে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধুমাত্র একজনের বক্তব্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ব্যক্তির নাম শরৎ চন্দ্র রেড্ডি, যিনি ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার কোম্পানির মালিক। অরবিন্দ ফার্মা। তার অন্যান্য কোম্পানিও রয়েছে। শরৎ চন্দ্র রেড্ডি দিল্লির আবগারি নীতির মাধ্যমে কিছু দোকানও পেয়েছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও ডাকা হয়েছিল এবং তিনি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন যে তিনি কখনও কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেননি বা আপের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি তাকে গ্রেফতার করেছে। তার বক্তব্যের পরের দিন। তিনি তার বয়ান বদলে দেন। তিনি ইডিকে জানিয়েছে তিনি কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং মদ কেলেঙ্কারি নিয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলেছেন কিন্তু এটা স্রেফ শুধু একটি বিবৃতি কিন্তু দুর্নীতির প্রমাণ কোথায়?"
AAP-এর প্রেস কনফারেন্সের সময়, অতীশি দাবি করেছিলেন যে শরথ রেড্ডির সংস্থা নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে বিজেপিকে প্রথমে সাড়ে চার কোটি টাকা এবং পরে গ্রেফতারের পর ৫৫ কোটি টাকা দেয়। তিনি বলেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং ইডিকে চ্যালেঞ্জ জানাই যে এখন মদ কেলেঙ্কারিতে আর্থিক দুর্নীতি সামনে এসেছে। বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডাকে গ্রেফতার করা উচিৎ ইডির' । AAP বলেছে, "শতশত অভিযান ও গ্রেফতারে পরেও, কোন নেতার কাছে একটি পয়সাও পাওয়া যায়নি। সুপ্রিম কোর্টও ইডির কাছে জানতে চেয়েছে তাহলে আর্থিক তছরুপের বিষয় কীভাবে সামনে এল'।
আমি শীঘ্রই বেরিয়ে আসব এবং আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব' জেল থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বার্তা
'ভারতের অভ্যন্তরে ও বাইরে বেশ কিছু শক্তি রয়েছে যা দেশকে দুর্বল করে দিচ্ছে। আমাদের সতর্ক হতে হবে, এই শক্তিগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে এবং তাদের পরাজিত করতে হবে…দিল্লির মহিলারা নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কেজরিওয়াল জেলবন্দী রয়েছেন। তারা এক হাজার টাকা করে পাবেন কিনা ? আমি তাদের বলতে চাই, 'কোন জেলই আমাকে বেশিদিন আটকে রাখতে পারবে না। আমি শীঘ্রই বেরিয়ে আসব এবং আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করব,' দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাঠানো একটি বার্তা পড়ে শুনিয়েছেন সুনিতা কেজরিওয়াল।