এখন তিনজন নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ফোনালাপ ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পরই রাজনৈতিক ক্ষেত্রে প্রলয়ের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলনের পর যেসব নেতৃত্ব পরিচিতি পেয়েছেন, তারপর এই প্রথম নন্দীগ্রামের কোনও নেতার পরিচয়বৃত্ত জেলা, রাজ্য ছাড়িয়ে দিল্লিতে পৌঁছিয়েছে। বুধবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বছর বিয়াল্লিশের প্রলয় বলেন, "মঙ্গলবার অমিত শাহ আমাকে আশীর্বাদ করেছেন। কাজ করার উৎসাহ দিয়েছেন।"
প্রলয় পালকে ফোন করার কথা মঙ্গলবার ভেকুটিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যদিও তিনি যুক্তি দিয়েছেন কেউ কেউ কথা বলতে চায় বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর ছিল। ঘটনা যাই হোক প্রলয় পাল এই মুহূর্তে নন্দীগ্রামে বিজেপির পরিচিত মুখ। দিনরাত এক করে ফেলছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ফোনকল রেকর্ড করে ফাঁস করে দেওয়ার প্রলয়ের শাস্তি দাবি করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে প্রলয় বলেন, ওনার(মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের) ফোন কলের পর বাড়তি চাপ তো রয়েছে। টার্গেট তো রয়েছি। উনি গ্রেফতারের কথা বলেছেন। পারলে গ্রেফতার করুক।"
নন্দীগ্রামের বিধায়ক ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তখন বিজেপিতে ছিলেন প্রলয় পাল। এগারোর পালাবদলের পরই তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। এই বিজেপি নেতার দাবি, "দাদা দাপুটে নেতা থাকার সময়ও নন্দীগ্রামে গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনে একশো শতাংশ আসনে প্রার্থী দিয়েছিলাম। ভোট করতে দেয়নি তৃণমূল। এবার তো শুভেন্দুদা আমাদের দলে রয়েছেন।" "আমফানের সময় দুশো চুরির অভিযোগ করেছিলাম দুর্নীতির।" বলেন, প্রলয়। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে মরন-বাঁচন নির্বাচন। সকাল ছটায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাত দেড়টা-দুটো নাগাদ বাড়িতে ঢুকছেন প্রলয় পাল। প্রচারের দৌড়ঝাঁপে রাতের ঘুম গিয়েছে উড়ে। জানালেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহসভাপতি প্রলয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন