Advertisment

Lok Sabha elections 2024: চাপে 'চিড়েচ্যাপটা' কংগ্রেস, ভোট বৈতরণী পারের মরিয়া চেষ্টা!

বিরোধী জোট এখনও সারা দেশে লোকসভা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। মহারাষ্ট্রে, আসন সংক্রান্ত চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
congress lok sabha polls

কংগ্রেসের জন্য একমাত্র রক্ষার অনুগ্রহ ছিল যে অনেক কঠিন আলোচনার পরে, আরজেডি তাকে নয়টি আসন দিতে রাজি হয়েছিল। (অনিল শর্মার এক্সপ্রেস ছবি)

১৮০০ কোটি টাকার 'ট্যাক্স বাবদ নোটিশের' পর দিন, কংগ্রেস বলেছে 'গত রাতে আরও দুটি নোটিশ পেয়েছে' তারা। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন যে দল "গত রাতে" আরও দুটি আয়কর নোটিশ পেয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা করে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, "গত রাতে আমাদের কাছে আরও দুটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।" ফের বিজেপির বিরুদ্ধে "কর সন্ত্রাসের" অভিযোগ এনে নির্বাচনের আগে মোদী কংগ্রেসকে পঙ্গু করে চান বলেই উল্লেখ করেছেন রমেশ। এদিকে কর্ণাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার দাবি করেছেন যে তিনি আয়কর বিভাগ থেকে একটি নোটিশ পেয়েছেন। এদিকে সামনেই লোকসভা ভোট তার আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধী জোটের মধ্যে বিভাজন প্রকাশ্যে।

Advertisment

হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা 'অগোছালো' ইন্ডিয়া জোট। বিরোধী জোট এখনও সারা দেশে লোকসভা আসনের প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি। মহারাষ্ট্রে, আসন সংক্রান্ত চুক্তি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যেখানে প্রথম পর্বের ১০২টি আসনে মনোনয়ন শেষ হয়েছে এবং দ্বিতীয় পর্বের জন্য মনোনয়ন পর্ব ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।

একদিকে বিজেপি এবং শরীকরা যখন তাদের নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত তখন বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এখনও আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় নি। বিহারের কোন কোন আসনে শুক্রবার আরজেডি-কংগ্রেস-বামদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত হয়েছে। তবে মহারাষ্ট্রে এখনও ভারত জোটের দলগুলির মধ্যে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চলছে আলোচনা।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর হ্যাটট্রিক আটকাতে ২৮টি বিরোধী দল একসঙ্গে দশ মাস আগে পাটনায় ইন্ডিয়া জোট গঠনে সম্মত হয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করে। কিন্তু ভোটের দিনক্ষণ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ফাটল ধরতে শুরু করে জোটস্তম্ভে। বিরোধী দলগুলিকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতে, নীতীশ কুমার অগ্রণী ভূমিকা পালন করলেও, বিজেপি সেই উইকেট তুলে নিয়ে ইন্ডিয়া জোটকে বড় ধাক্কা দেয়। ইতিমধ্যেই ইণ্ডিয়া জোটের সঙ্গে তিনি সব সম্পর্ক ছিন্ন করে এনডিএতে যোগ দিয়েছেন।

জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি-ও ইন্ডিয়া জোট থেকে জোট থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ শিবিরে যোগ দিয়েছে। জেডিইউ-আরএলডি-র হঠাৎ এনডিএ-তে যোগ দেওয়া বিরোধী জোটের জন্য একটি বড় ধাক্কা। মেহবুবা মুফতির দল পিডিপি যখন জম্মু ও কাশ্মীরে এককভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে, টিএমসি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বাংলায় এককভাবে নির্বাচনে লড়াই-য়ের ঘোষণা করেছেন। অখিলেশ যাদব থেকে শুরু করে লালু প্রসাদ যাদব এবং উদ্ধব ঠাকরে পর্যন্ত আসন ভাগাভাগি নিয়ে কংগ্রেসকে রাজনৈতিকভাবে নতজানু হতে বাধ্য করেছে। এর পরেও মহারাষ্ট্রে আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোন ঐক্যমতে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।

আসন ভাগাভাগি নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে একাধিক মতবিরোধের পর দিল্লি-গুজরাট-হরিয়ানায় কংগ্রেসের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে একটি রফাসূত্র মিললেও পাঞ্জাবে উভয়ই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নামছে।

উত্তরপ্রদেশেও, কংগ্রেসকে আসন ভাগাভাগি নিয়ে ধাক্কা খেতে হয়। প্রথমে রাজ্যের ১১ টি লোকসভা আসনে কংগ্রেসকে ছাড়ে অখিলেশের দল। কংগ্রেস যে আসনগুলি চাইছিল তার মধ্যে একাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে অখিলেশের দল। পরে আরএলডি জোট ছেড়ে যাওয়ার পর ১৭টি আসন পায় কংগ্রেস। কিন্তু তাতেও বেশ কিছু আসন কংগ্রেস চেয়েও পায়নি। যার মধ্যে বেশ কয়েকটিতে ২০০৯ সালে জেতে দল।

বিহারে, কংগ্রেসকে আরজেডির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি করতে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে। তারপরে শুক্রবার আসন ভাগাভাগির সূত্রে মেলে সিলমোহর । কংগ্রেস বিহারে ৯টি আসন পায়। কিন্তু লালু যাদব কংগ্রেসকে পূর্ণিয়া এবং বেগুসরাই আসন দেননি। এই কারণে, পাপ্পু যাদব এবং কানহাইয়া কুমারের কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে লড়াইয়ের করার আশা ধাক্কা খেয়েছে। যা কংগ্রেসের রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে আরও অনিশ্চিত করেছে। আরজেডি ঔরঙ্গাবাদ আসনটিও ধরে রেখেছে, যেখান থেকে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নিখিল কুমারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশা ভেস্তে যায়।

মহারাষ্ট্রে ভারতের জোটের অধীনে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে চূড়ান্ত অনুমোদন এখনও মেলেনি। বিরোধী জোটে বর্তমানে কংগ্রেস, শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং উদ্ধব ঠাকরে গোষ্ঠীর শিবসেনা রয়েছে। প্রকাশ আম্বেদকরের দলকেও জোটে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও কিছু সিদ্ধান্ত হয়নি। আসন ভাগাভাগি বা প্রকাশ আম্বেদকরকে নেওয়ার বিষয়ে কোনো ঐক্যমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি । এমন পরিস্থিতিতে, উদ্ধব ঠাকরে তার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতে শুরু করেছেন যখন কংগ্রেসও কিছু আসনে প্রার্থী দিয়েছে। যার কারণে রাজ্যে এক থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় একলা লড়াইয়ে কথা বলার পর কংগ্রেস ও বামেদের মধ্যে বন্ধুত্ব ফুটে উঠলেও আসন ভাগাভাগি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কংগ্রেস এবং বাম উভয়ই তাদের নিজ নিজ প্রার্থীকে মাঠে নামছে যেখানে কেরলে উভয়ই ইতিমধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কংগ্রেস বিহার, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ ও রাজস্থানে বামেদের সঙ্গে জোট করেছে, কিন্তু বাংলায় কী হবে তা ঠিক হয়নি।

আরও পড়ুন : < Lok Sabha elections 2024: ভোট প্রচারে রাম মন্দির থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল, মোদী মন্ত্রেই ৪০০ পারের আশায় যোগী আদিত্যনাথ >

CONGRESS loksabha election 2024
Advertisment