দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদে রবিবার পথে নেমেছে ইন্ডিয়া জোট। রাজধানীর রাজপথে মেগা ব়্যালি বিজেপি-বিরোধী দলের জোটের। পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোটের শক্তি প্রদর্শনেরও মিছিল বলা যেতে পারে এই কর্মসূচিকে। বিরোধী দলগুলির সব বড় নেতা এদিনের সমাবেশে অংশ হিয়েছে। এই মিছিলের নাম দেওয়া হয়েছে লোকতন্ত্র বাঁচাও মিছিল।
এই মিছিলে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব, বিহারের তেজস্বী যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ফারুক আবদুল্লার মতো নেতারা উপস্থিত থেকে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেন। এঁদের সঙ্গে একই সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতারা। শনিবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের স্ত্রী কল্পনা সোরেন সুনিতা কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে বৈঠক। আজ বিরোধীদের মেগা সমাবেশে অংশ নেবেন কল্পনা সোরেনও।
সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে আপের মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, , "২১শে মার্চের পর সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। কেন একজন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা কেউই বুঝতে পারছেন না। কিন্তু এটা শুধু অরবিন্দ কেজরিওয়াল নয়। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে"। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এবং সিবিআই-এর অপব্যবহারের ফলে গণতন্ত্র আক্রমণের মুখে পড়েছে…"। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের স্ত্রী, সুনিতা কেজরিওয়াল, দিল্লিতে 'লোকতন্ত্র বাঁচাও' সমাবেশে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।
বিজেপি বিরোধী জোটের এদিনের সমাবেশের নিন্দা জানিয়ে বলেছে যে এটি "গণতন্ত্র বাঁচানোর" আন্দোলন নয়, বরং এটি "পরিবার বাঁচান" এবং "দুর্নীতি লুকান"-এর লক্ষ্যে মহামিছিল। বিজেপি সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, সমাবেশের প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেছেন, "সমাবেশ করতে কোনও বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু কারা জমায়েত করছেন? যাঁরা জনগণের টাকা লুটপাটের জন্য জেল খাটছেন। তাদের গ্রেফতারির বিরুদ্ধে এই আন্দোলন লজ্জার। যাঁরা এক সময় যিনি সততার কথা বলেছেন এখন গ্রেফতারের পর তিনি জেল থেকে সরকার চালানোর কথা বলছেন"।