আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে স্বাধীনতা সংগ্রামের দ্বিতীয় লড়াই বলে উল্লেখ করে ডিএমকে নেতা এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন বলেছেন,'আসন্ন নির্বাচন ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লড়াই'।
ডিএমকে নেতা এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে 'স্বাধীনতার জন্য দ্বিতীয় যুদ্ধ' বলে অভিহিত করেছেন। স্ট্যালিন বলেন, 'এই সংগ্রাম ভারতের গণতন্ত্রকে রক্ষার লড়াই' । গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, বহুত্ববাদী সমাজ এবং গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর মতো মৌলিক নীতিগুলি আজ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ডিএমকে নেতা বলেন, 'ইণ্ডিয়া জোট স্পষ্টভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক লড়াই চালাচ্ছে'।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্ট্যালিন একথা বলেন, 'এই নির্বাচন আমাদের জন্য শুধু একটি টার্নিং পয়েন্ট নয়, এটা ভারতীয় গণতন্ত্রের জন্য ডু-অউর-ডাই লড়াই। আমাদের শক্তিশালী দল রয়েছে। অখিলেশ যাদব, কেজরিওয়াল, উদ্ধব ঠাকরে, রাহুল গান্ধীর মত নেতারা রয়েছেন। সবাই আমরা একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি'।
বিজেপির সাফল্য কী মোদীর একার সাফল্য নাকি তা সরাসরি 'হিন্দুত্বে'র সঙ্গে যুক্ত? এই প্রশ্নের জবাবে স্ট্যালিন বলেছিলেন যে বিজেপির অনেকেই মোদীকে 'বিশ্ব গুরু' বলতে পারেন, কিন্তু আপনি যখন তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলির প্রতি উদাসীনতা বা চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রশ্ন তোলেন, তখন তাদের 'নীরবতা' কথা বলে। মোদী 'বিশ্বগুরু' নন। আসন্ন নির্বাচনে, রাহুল গান্ধীর মতো তরুণ নেতা মোদীর এই ভাবমূর্তিকে ভেঙে ফেলতে প্রস্তুত'।
বিরোধী নেতারা বিজেপিতে যোগদানের পরই তাদের বিরুদ্ধে মামলাগুলি স্থগিত বা বিলম্বিত হওয়ার বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনের বিষয় উল্লেখ করে, স্ট্যালিন বলেন, “এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরে, তাদের কৃতিত্ব প্রদর্শনের পরিবর্তে, মোদী সরকার অতীতকে খোঁচাতে ব্যস্ত, আঙুল তুলেছে পন্ডিত নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিদের দিকে। এখন তাদের মূল এজেন্ডা কি? আপাতদৃষ্টিতে, বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করা। তা করতেই এসব করা হচ্ছে"।
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্টালিন রাজনৈতিক দুর্নীতির বিষয়কে নিশানা করে বলেন, যে এটি কোনও গোপন বিষয় নয় যে একটি দল পরিচালনার ক্ষেত্রে আজকের দিনে অর্থের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে তবে যেটা থাকার দরকার তা হল, "স্বচ্ছতা"।
স্ট্যালিন বলেন, “ভারতীয় রাজনীতিতে ডিএমকে-র ভূমিকা শুধুমাত্র কেন্দ্রে কয়েকটি মন্ত্রী পদ ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নয়… ডিএমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে জাতীয় নেতৃত্ব গঠনে, ভিপি সিং, (এইচডি) দেবগৌড়া, (আইকে) গুজরাল এবং মনমোহন সিং-এর মতো প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে।"