বিহারের ৪০ টি লোকসভা আসনের মধ্যে এনডিএ জোটের অংশ হিসাবে জেডিইউ ১৬ টি আসনে তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।
বিহারে মোট ৪০ টি লোকসভা আসনের মধ্যে, জেডিইউ, ১৬ টি আসনে, বিজেপি ১৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। চিরাগ পাসোয়ানের দল পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেবে এবং জিতন রাম মাঞ্জি এবং উপেন্দ্র কুশওয়াহার দল একটি করে আসনে প্রার্থী দেবে। বিজেপির পক্ষ থেকে এখনও প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ বড় জয় পেয়েছিল। গত নির্বাচনে, জেডিইউ এবং বিজেপি ১৭ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং এলজেপি ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বিজেপি ১৭ টি আসনের মধ্যে ১৭ টিতেই এবং জেডিইউ ১৬ টি আসন জিতেছিল। এর পাশাপাশি এলজেপিও জিতেছে ছয়টি আসনে। মহাজোট থেকে একমাত্র কিষাণগঞ্জে কংগ্রেস জিতেছিল।
আজ (২৪ মার্চ) মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেড তাদের ১৬টি আসনের সবকটিতে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তালিকায় একাধিক পুরনো মুখের পাশাপাশি রয়েছে কিছু নতুন মুখও। এবার পরিবর্তন আনা হয়েছে মাত্র একটি আসনে। সিওয়ান আসন থেকে কবিতা দেবীর টিকিট বাতিল করা হয়েছে। এ আসন থেকে টিকিট পেয়েছেন বিজয় লক্ষ্মী। এবার JDU আবারও তাদের ১২ জন বর্তমান সাংসদকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেছে।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ভাগলপুর সংসদীয় আসন থেকে অজয় কুমার মণ্ডল বাঁকা থেকে গিরিধারী যাদব, গোপালগঞ্জ থেকে ডাঃ অলোক কুমার সুমন , জেহানাবাদ আসন থেকে চন্দেশ্বর চন্দ্রবংশী । ঝাঁঝাড়পুর আসন থেকে রামপ্রীত মণ্ডল, কাটিহার আসন থেকে দুলালচাঁদ গোস্বামী, মাধেপুরা আসন থেকে দিনেশচন্দ্র যাদব, মুঙ্গের আসন থেকে রাজীব রঞ্জন সিং ওরফে লালন সিং, নালন্দা আসন থেকে কৌশলেন্দ্র কুমার, পূর্ণিয়া থেকে সন্তোষ কুশওয়াহা, সুপল থেকে দিলেশ্বর কামত, বাল্মিকি নগর থেকে সুনীল কুমার মাহাতো, পূর্ণিয়া থেকে সন্তোষ কুশওয়াহা, শিবহার থেকে প্রেমময় আনন্দ, সীতামারহি থেকে দেবেশ চন্দ্র ঠাকুর, সিওয়ান থেকে রাজলক্ষ্মী কুশওয়াহা এবং কিষাণগঞ্জ থেকে মুজাহিদ আলমকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
JDU ১১ জন অনগ্রসর এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণীর প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে। উচ্চবর্ণ তিনজন প্রার্থীকে টিকিট দিয়েছে দল। একইসঙ্গে এসসি সম্প্রদায়ের একজন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক প্রার্থীও নির্বাচনী দৌড়ে ময়দানে নেমেছেন। এদিকে আজ সন্ধ্যায় দিল্লি আসছেন আরজেডি নেতারা। কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা করবেন। এশীঘ্রই আরজেডি ও কংগ্রেসের তরফে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। সাংবাদিক সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, জেডি (ইউ) নেতা রাজীব রঞ্জন সিং বলেছেন, "এনডিএ জোটের অংশীদারদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা এবং প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে কোনও সমস্যা হয়নি। ঐকমত্য মেনেই সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে"।