দিন ১৫-র অপেক্ষা। তারপরই বিহারে প্রথম পর্যায়ের ভোট। তাই সোমবার থেকেই জোরদার প্রচার শুরু করলেন জেডিইউ প্রধান তথা মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ভার্চুয়াল সমাবেশের মাধ্যমে নিজের বক্তব্য ভোটারদের কাছে পেশ করেন নীতীশ। গত ১৫ বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে রয়েছেন তিনি। তাই তাঁর কাজের বিচার করেই ভোটারদের ভোট দেওয়া আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে 'অশুভ শক্তি' বলে তোপ দেগেছেন বিরোধী তেজস্বী-চিরাগদের। জোটসঙ্গী রামমন্দির, অযোধ্যা, তিন তালাক ইস্যু প্রচারের হাতিয়ার করলেও এ দিনের সভা থেকে স্পষ্ট উন্নয়ন মন্ত্রেই ভোট বৈতরণী পারের ঘুঁটি সাজিয়েছেন জেডিইউ প্রধান।
এ দিন নীতীশ কুমার বলেছেন, 'গণতন্ত্রের আসল শক্তি জনগণ। দয়া করে কাজের বিচার করে ভোট দেবেন। ২০০৫ সালে আমি মুখ্যমন্ত্রী হওয়.ার আগে বিহারের অবস্থা কী ছিল, আর এখন কেমন তা বিবেচনা করবেন। গত ২৫ বছরে রাজ্যজুড়ে রাস্তা, সেতু নির্মাণ হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে।' মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আগামী পাঁচ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনাও তৈরি। ক্ষমতায় ফিরালে তিনি সব ফসলী জমিতে চাষের জন্য জল পৌঁছে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বিরোধী মহাজোট এবার লালু পুত্র তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বেই ভোটে লড়ছে। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গে থাকলেও প্রথম থেকেই নীতীশ বিরোধী এলজেপি নেতা চিরাগ পাসওয়ান। এবার জেডিইউ-এর বিরুদ্ধে এলজেপি প্রার্থী দাঁড় করাবে বলে ঘোষণা করেছেন চিরাগ। তাই আরজেডি-কংগ্রেসের মতই একদা সঙ্গী এলজেপি এখন নীতীশের চক্ষুশুল। এদিনের প্রচারে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে বিরোধীদের 'অশুভ শক্তি' বলে কটাক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'এমন অনেক লোক রয়েছেন যাঁরা ঘৃণা ও অশুভ ইচ্ছা ছড়াতে বেরিয়েছেন। অনেকেই নিজের ছেলে, ভাই ও মেয়ের কথা ভাবেন। কিন্ত নীতীশ কুারের কাছে গোটা বিহারই আমার পরিবার। এখন বিবেচনা আপনাদের। নিজেদেরই জিজ্ঞাসা করুন আমি ভাল কাজ করেছি, না করিনি।'
লকডাউনে পরিযায়ী শ্রমিকরা যেসব রাজ্যে বেশি ফিরেছেন তাদের মধ্যে অগ্রগণ্য বিহার। কোয়ারেন্টির থেকে প্রতি পরিযায়ীকে আর্থিক সহায়তা- সব ক্ষেত্রেই রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ান এ দিন তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, বিরোধী শিবির বিহার সরকারের কোরনা মোকাবিলার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।
আগামী ২৮ অক্টোবর বিহারের বাঙ্কা, মুঙ্গের ও সংলঙ্গ জেলাগুলোর মোট ১২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন