Advertisment

Lok Sabha Election 2019: পুলিশ পর্যবেক্ষকের আরএসএস যোগ নিয়ে সরব মমতা

Lok Sabha Election 2019: ১৯৮২ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার শর্মার নিয়োগে আপত্তি তুলেছে বাংলার বর্তমান শাসকদল তৃণমূল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
k k sharma, কে কে শর্মা

এ ছবি ঘিরেই বিতর্ক।

General Election 2019: রাজ্যে পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে কে কে শর্মার নিয়োগ নিয়ে সরব মমতা। বুধবার ইস্তেহার প্রকাশ করতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘‘এই ব্যক্তি আরএসএসের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। ইউনিফর্ম পরে গিয়েছিলেন। ওঁকে কেন পর্যবেক্ষক করা হল? একজন বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যিনি পুলিশ মোতায়েন করছেন ভোটে। কেন এঁদের দায়িত্ব দেওয়া হল? কমিশনকে বলব, দয়া করে খতিয়ে দেখুন।’’ আরএসএসের অনুষ্ঠানে কে কে শর্মার ছবি সামনে এনে এদিন এ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা।

Advertisment

প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের নিয়োগ ঘিরে চরমে বিতর্ক। লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে কে কে শর্মাকে। ভোটে নিরাপত্তা, বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শর্মাকে। এ রাজ্যের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ডের কেন্দ্রীয় পুলিশ পর্যবেক্ষকের দায়িত্বও সামলাবেন কে কে শর্মা।

লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে

আসন্ন নির্বাচনে ১৯৮২ ক্যাডারের আইপিএস অফিসার শর্মার নিয়োগ প্রসঙ্গে ইতিমধ্যে আপত্তি তুলেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। বিএসএফের প্রাক্তন ডিজির সঙ্গে আরএসএসের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মমতার দলের তরফে অভিযোগে জানানো হয়েছে, গত বছর আরএসএসের একটি অনুষ্ঠানে আধা সামরিক উর্দি পরে শর্মাকে দেখা গিয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত বছর কলকাতায় আরএসএসের ওই অনুষ্ঠানে শর্মার যোগদান ঘিরে সেসময়ও বিতর্ক বেধেছিল।

আরও পড়ুন, Lok Sabha Election 2019: ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করে বিপাকে মুকুল রায়

অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রাক্তন যুগ্ম সচিব কে কে মিত্রের কাঁধে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর স্বামী কে কে মিত্র। একসময়ের কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন এই কে কে মিত্র। অবসরের পর উপদেষ্টা হিসেবে চুক্তির ভিত্তিতে কার্যত ওই পদেই মিত্রকে নিয়োগ করা হয় বলে খবর। বিজেপি প্রার্থীর স্বামীকে কীভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হল, তা নিয়ে আপত্তি তুলেছে তৃণমূল। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ‘শিখিয়ে-পড়িয়ে’ নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী, এমনটাই অভিযোগ। তাঁর এহেন আচরণ অবাধ নির্বাচনের পথে বাধা হবে বলে দাবি করেছে তৃণমূল।

election commission lok sabha 2019 General Election 2019
Advertisment