Kulwinder Kaur: চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে বিজেপির নব নির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে চড় কষানোর একদিন পরে পাঞ্জাব পুলিশ শুক্রবার সিআইএসএফ কনস্টেবল কুলবিন্দর কৌরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। তবে এই ঘটনায় ওই মহিলা সিআইএসএফ কনস্টেবলের পাশে দাঁড়িয়েছে কৃষক সংগঠন। তাদের তরফে গোটা ঘটনাটি সঠিকভাবে তদন্তের। দাবি জানানো হয়েছে।
সিআইএসএফ-এর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, মোহালি পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩ এবং ৩৪১ ধারায় কুলবিন্দর কৌরের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করেছে। এই বিষয়ে মোহালি পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেছেন, উভয়ই জামিনযোগ্য অপরাধ। এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সিআইএসএফ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, বিমানবন্দর নিরাপত্তা, বিনয় কাজলা বলেছেন যে তারা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করছেন। তিনি বলেছিলেন যে তারা দেখেছেন যে কুলবিন্দর কৌরের অতীতে এই ধরণের কোন রেকর্ড নেই। তার স্বামীও গোটা ঘটনায় অবাক।
রানাউত বৃহস্পতিবার অভিযোগ করেন, যে চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় ওই মহিলা কনস্টেবল তাকে সপাটে চড় মারেন এবং গালিগালাজ করেন। সিআইএসএফ অবিলম্বে ঘটনার পর কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করেছে। কুলবিন্দর কৌর দাবি করেছিলেন যে তিনি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমান্তে কৃষকদের বিক্ষোভে মহিলাদের যোগদানের বিষয়ে তার মন্তব্যের জন্য রানাউতের উপর বিরক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন : < Rahul Gandhi: দুই আসনে রেকর্ড জয়, তাঁর হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াল কংগ্রেস, বিরোধী দলনেতার ভুমিকায় রাহুল? >
সিআইএসএফও ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মোহালি পুলিশের এসএইচও (বিমানবন্দর) পরিদর্শক পেরিউইঙ্কেল গ্রেওয়াল জানিয়েছেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। শুক্রবার, বেশ কয়েকটি কৃষক ইউনিয়ন কুলবিন্দর কৌরের সমর্থনে পা মিলিয়েছেন। তার মধ্যে ছিলেন সম্মিলিত কিষান মোর্চা (অরাজনৈতিক) নেতা জগজিৎ সিং ডাল্লেওয়াল এবং কিষাণ মজদুর সংগ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক সারওয়ান সিং পান্ধের। তারা উভয়েই পাঞ্জাব ডিজিপি গৌরব যাদবের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টির সঠিক তদন্তের দাবি করেছিলেন। এরপর এক বিবৃতিতে সংগঠনের তরফে বলা হয়, "কনস্টেবলের প্রতি কোন অবিচার যেন না হয়, তার জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ। পাঞ্জাব পুলিশের তরফে আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে তদন্ত নিরপেক্ষভাবেই চলছে"।
এদিকে পাঞ্জাব বিজেপির প্রধান সুনীল জাখর ঘটনাটিকে "সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন কোন ঘটনায় ভিন্নমত থাকতেই পারে তবে তা প্রকাশের উপায় হিসাবে যে কোনো ধরনের হিংসাত্নক পদক্ষেপ গ্রহণযোগ্য নয়।