বেগুসরাইতে নির্বাচন মিটেছে, এবার বাংলায় ভোটপ্রচারে আসছেন কানহাইয়া কুমার।
সিপিআই ও বামফ্রন্ট সূত্রে খবর, আগামী শনিবার কলকাতায় আসবেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (জেএনইউএসইউ) প্রাক্তন সভাপতি। ৬ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের একাধিক জেলায় বাম প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার করবেন তিনি। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, কানহাইয়া মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচার করবেন। তার মধ্যে দুটি কেন্দ্রে বামফ্রন্টের সিপিআই এবং তিনটিতে সিপিএমের প্রার্থী রয়েছেন। কানহাইয়াকে দিয়ে মোট ছয়টি জনসভা এবং কয়েকটি রোড শো করানোর পরিকল্পনা রয়েছে বামেদের।
সিপিআই-এর জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং দলের ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি শুভম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি বিভাজন, সন্ত্রাস এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করছে। মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে লড়াই করছেন একমাত্র বামপন্থীরাই। সেই লড়াইকে শক্তিশালী করতেই কানহাইয়া রাজ্যে আসছেন।" তাঁর কথায়, "ছাত্র-যুবদের মধ্যে কানহাইয়ার আবেদন প্রশ্নাতীত। বেগুসরাইতে ওঁর জন্য প্রচার করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ, শিল্পী, বুদ্ধিজীবীরা গিয়েছিলেন। এই রাজ্যেও সাম্প্রতিক অতীতে যতবার কানহাইয়া এসেছেন, বামপন্থী ও গণতান্ত্রিক মহলে বিপুল উৎসাহের সঞ্চার হয়েছে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না।"
প্রসঙ্গত, বেগুসরাইতে নির্বাচন মেটার পরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বাম প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচার শুরু করেছেন কানহাইয়া। সূত্রের খবর, বিজেপি-র প্রজ্ঞা ঠাকুরের বিরুদ্ধে প্রচারের জন্যও ভোপালের কংগ্রেস প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং আমন্ত্রন জানিয়েছেন কানহাইয়াকে। সেই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে সিপিআই-এর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে দিগ্বিজয়ের সমর্থনে প্রচারে যাবেন কানহাইয়া।
রাজ্যে কোন কোন কেন্দ্রে প্রচার করবেন ৩২ বছরের সিপিআই নেতা? দলের রাজ্য পরিষদের এক সদস্য জানান, ৪ তারিখ বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ব্যারাকপুরে যাবেন কানহাইয়া। সেখানে ওই কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী গার্গী চট্টোপাধ্যায়ের প্রচার সেরে যাবেন তমলুকের সিপিআই প্রার্থীর হয়ে প্রচার করতে। এরপর পাঁশকুড়ায় একটি সভায় বলবেন তিনি। রাতে মেদিনীপুরে সিপিআই-এর দফতরে থাকার কথা রয়েছে। পরদিন, ৫ মে ঝাড়গ্রাম, দাসপুর ও খড়গপুরে প্রচার সেরে আসবেন কলকাতায়। ৬ তারিখ সকালে রাজ্য ছাড়বেন তিনি।