/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/kankinara-759.jpg)
আজও কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধ। ছবি: টুইটার।
ভোট ঘিরে অশান্তি কাটছেই না ভাটপাড়া এলাকায়। আজও রণক্ষেত্রের চেহারা নিল কাঁকিনাড়া। এলাকায় বোমাবাজি চলছে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে আজও সকাল থেকে কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ চলে। ২৯নং রেলগেট এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা নৈহাটি লোকাল লক্ষ্য করে বোমা, ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে। বেশ কয়েকজন যাত্রী জখম হয়েছেন বলে খবর। দুপুর ১২টা ৪ মিনিট নাগাদ রেল অবরোধ ওঠে।
পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল ৮টা ৪৩ মিনিট নাগাদ এদিন কাঁকিনাড়ায় অবরোধ শুরু হয়। এর জেরে শিয়ালদা-নৈহাটি শাখায় ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচল। তবে ব্যারাকপুর-শিয়ালদা শাখায় ট্রেন চলছে। অবরোধের জেরে আটকে পড়ে ১৭টি লোকাল ট্রেন। আটকে পড়ে ১৩১০৪ ভাগীরথী এক্সপ্রেস, ১২৩৮৪ আসানসোল-শিয়ালদা ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস, ১৫০৪৮ পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস। রেল অবরোধের জেরে ৭ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে আরপিএফ ও জিআরপি।
আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী সংঘর্ষের জের, কাঁকিনাড়ায় রেল অবরোধ
উল্লেখ্য, রবিবার উপনির্বাচনের পর থেকেই তেতে রয়েছে ভাটপাড়া। বিভিন্ন এলাকায় বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে ভোট পরবর্তী সংঘর্ষের প্রতিবাদে কাঁকিনাড়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। সকাল ৭টা ৫ মিনিট নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে। সপ্তাহের প্রথম দিন অফিস টাইমে রেল অবরোধের জেরে চরম বিপাকে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার আশঙ্কায় সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভাটপাড়ায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “সোমবার বিকেলের পর থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, রবিবার কাঁকিনাড়ার কাটাপুকুর এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চলে। দফায় দফায় তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, ওই এলাকায় যাচ্ছিলেন উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মদন মিত্র। সে সময়ই তাঁকে ঘিরে বোমাবাজি চলে। বিজেপির বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করেছে শাসকশিবির। এ ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি চালায় তারা। এলাকায় কার্ফু জারি করা হয়। এ ঘটনার পরে কাঁকিনাড়ায় তৃণমূলের প্রাক্তন এবং বর্তমানে বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাঁঁধে অর্জুন সিংয়ের।