লোকসভা ভোটের মধ্যেই চরম বিপাকে এনডিএ। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি তথা জেডিএস সাংসদ প্রজ্জল রেভান্নার 'অশ্লীল ভিডিও ফাঁস' হতেই দেশ জুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে সিট (SIT) গঠন করেছে কর্নাটক সরকার। এর পরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল রেভান্নার বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে কর্নাটকে লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ইস্যুতে রীতিমতো চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
কর্ণাটকেই ভোট প্রচারে গিয়ে মোদী ওয়ানাডে জয় হাসিল করতে কংগ্রেস পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন। এবার সেই কর্ণাটকেই প্রবল অস্বস্তিতে এনডিএ প্রার্থী প্রজওয়াল রেভান্নার বিরুদ্ধেই অশ্লীল ভিডিও কাণ্ডের তদন্তে সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া সরকার। দেবগৌড়ার নাতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের হতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। যৌন হয়রানির অভিযোগে ইতিমধ্যেই প্রজওয়াল রেভান্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মহিলা। সিদ্দারামাইয়া সরকার বিষয়টি তদন্তে SIT গঠনের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নাতি এবং কর্ণাটকের হাসন লোকসভা আসনের জেডিএস সাংসদ প্রজওয়াল রেভান্নার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রেভানার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা করেছেন এক মহিলা। এদিকে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেভান্না। অভিযুক্ত ভিডিওটিকে মর্ফ বলে উল্লেখ করে তিনি পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারির তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।এফআইআর-এ, ওই মহিলা অভিযোগ করেছেন যে তিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বেশ কয়েকবার যৌন শোষণের শিকার হয়েছেন। প্রজ্বল রেভান্না হাসান লোকসভা কেন্দ্রে জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের (এনডিএ) প্রার্থী । এবারের নির্বাচনে জনতা দল (সেকুলার ) এবং বিজেপি জোটবদ্ধভাবে লড়ছে।
বিজেপি ভিডিও কাণ্ডে দূরত্ব বজায় রেখেছে
এদিকে রেভান্নার বিরুদ্ধে ওঠা অশ্লীল ভিডিও নিয়ে বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে বিজেপি। কর্ণাটক মহিলা কমিশনের প্রধান রাজ্য সরকারকে লেখা একটি চিঠির প্রেক্ষিপ্তেই এসআইটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যদিও রেভান্না সরাসরি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং দাবি করেন যে এটি ভোট আবহে তার ভাবমূর্তিকে নষ্ট করার একটি ষড়যন্ত্র। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসেই জেডি(এস) কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির সঙ্গে জোট তৈরি করে। যদিও এই সেক্স টেপ বিতর্ক শুরু হওয়ার পরই বিজেপি জেডি(এস)-র সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নিয়েছে। যদিও পুলিশ রবিবার পর্যন্ত প্রজওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।