ইডি গ্রেফতারিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের আবেদনের ভিত্তিতে আজ শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করেন। সোরেন ৩রা মে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের দেওয়া রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছেন।
সুপ্রিম কোর্ট সোমবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের কথিত জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় গ্রেফতারের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে ১৭ মে-এর মধ্যে জবাব চেয়েছে।
সোরেনের আইনজীবী, সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিলেন। উল্লেখ্য আসন্ন নির্বাচনের প্রচারের জন্য ১ জুন পর্যন্ত কেজরিওয়ালকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত। সেই উদাহরণ টেনে সোরেনের জামিনের আবেদন জানানো হয়।
সংক্ষিপ্ত শুনানির পর বিচারপতি খান্না জানান, জুলাইয়ে বিষয়টির শুনানি হবে। এ বিষয়ে সোরেনের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ততক্ষণে নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে, তাই এই বিষয়ে দ্রুত শুনানি হওয়া উচিত। সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার অর্থাৎ ১৭ মে মামলার শুনানি করতে রাজি হয়েছে। মামলায় শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট বিচার করবে হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারি অবৈধ ছিল কি না? ইডি-র গ্রেফতারের আগেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন সোরেন।
সোরেন এর আগে জামিনের আবেদন জানান ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে। দীর্ঘ শুনানির পর তাঁর আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। সোরেনের আইনজীবী সিব্বল সুপ্রিম কোর্টে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বিলম্বের বিষয়টি উত্থাপন করেন। কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের কথা উল্লেখ করে লোকসভা নির্বাচনে নিজের জন্য জামিনের আবেদন করেন সোরেন। তবে এই মামলায় ইডি-কে জবাব দিতে আরও সময় দিয়েছে আদালত।
হেমন্ত সোরেনকে ৩১ জানুয়ারি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে জমি কেলেঙ্কারির মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বর্তমানে রাঁচির বিরসা মুন্ডা জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে প্রচারের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়েছিলেন সোরেন।