Advertisment

রাহুলকে জন্মাতে দেখেছিলেন এই নার্স

সোনিয়া গান্ধীকে যখন লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী ও কাকা সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে লেবার রুমের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
West Bengal Lok Sabha Election 2019 Live, rahul gandhi, লোকসভা ভোট ২০১৯, রাহুল গান্ধী

রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ওয়ানাড়ে সিপিআই প্রার্থী পি পি সুনীর

ওয়ানাড়ের ভোটার রাজাম্মা ভাভাতিল একজন অবসরপ্রাপ্ত নার্স। তাঁর বিশ্বাস রাহুল গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা কারোরই উচিত নয়। কারণ, ১৯৭০ সালের ১৯ জুন দিল্লির হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালে রাহলের জন্মের সময়ে সেখানেই কর্তব্যরত ছিলেন রাজাম্মা।

Advertisment

৭২ বছরের রাজাম্মা সে সময়ে নার্সিং ট্রেনিং নিচ্ছিলেন। তাঁর দাবি তিনিই প্রথম দুহাতের মধ্যে নিয়েছিলেন রাহুলকে।

ওয়ানাড় থেকে ফোনে পিটিআইকে রাজাম্মা জানালেন, "সদ্যোজাত শিশুটিকে প্রথম যারা কোলে নিয়েছিল, আমি তাদের একজন। আমার সে কী উত্তেজনা! প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাতিকে কোলে নিয়ে আমরা সবাই তখন শিহরিত।"

৪৯ বছর পর সে ফুটফুটে শিশু আজ কংগ্রেস সভাপতি, এবং ওয়ানাড়ের প্রার্থী। এবং রাজাম্মা ভাভাতিল. যিনি নিজের সম্পর্কে বলেন "প্রায় গৃহবধূ", তিনি দারুণ খুশি।

সে দিনটার কথা দিব্যি মনে আছে তাঁর।

সোনিয়া গান্ধীকে যখন লেবার রুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তখন রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী ও কাকা সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে লেবার রুমের বাইরে অপেক্ষা করছিলেন, মনে পড়ে রাজাম্মার।

এ গল্প তিনি তাঁর পরিবারের মানুষের কাছে প্রায়ই করে থাকেন।

কংগ্রেস সভাপতির নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণিয়ন স্বামী প্রশ্ন তোলায় দুঃখিত হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত এই নার্স।

কংগ্রেস সভাপতির নাগরিকত্বের ইস্য়ু ফের সামনে চলে এসেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এ নিয়ে তাঁকে নোটিস পাঠানোয়। একটি ব্রিটিশ সংস্থার বাৎসরিক রিটার্নে রাহুল গান্ধীকে সে দেশের নাগরিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্বামী। ভারতীয় আইনে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণযোগ্য নয়।

রাজাম্মা ভাভাতিলের মতে রাহুলের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলা যায় না এবং তাঁর নাগরিকত্ব নিয়ে স্বামীর তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

তিনি জানালেন, রাহুল গান্ধীর জন্মের সব নথি হাসপাতালেই থাকবে।

দিল্লির হোলি ফ্যামিলি হাসপাতাল থেকে নার্সিং কোর্স সম্পন্ন করার পর রাজাম্মা ভাভাতিল নার্স হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীতে। সেখান থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে ১৯৮৭ সালে তিনি কেরালায় ফিরে আসেন। এখন কাল্লুরে সুলতান বেদারির কাছে থাকেন তিনি।

রাজাম্মার আশা, রাহুল যখন পরেরবার ওয়ানাড়ে আসবেন, তখন তাঁর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন তিনি।

Read the Full Story in English

rahul gandhi General Election 2019
Advertisment