পরিবারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বিদেশ সফর কেরলে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় দলই বিদেশ ভ্রমণের সময় এবং এর খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
স্ত্রী কমলা এবং নাতি ইশানকে সঙ্গে নিয়ে বিজয়ন সোমবার বিদেশ ভ্রমণের উদেশ্যে রওনা হয়েছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুর ঘুরবেন তিনি। ২৬ শে এপ্রিল কেরলে দ্বিতীয় দফায় ভোট শেষের মাত্র ১০ দিন পর মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস বিজেপি। জাতীয় স্তরে CPI(M) বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অংশ। সেই জোটে কংগ্রেস অপর প্রধান স্তম্ভ।
জামাই রিয়াস বিদেশে পারিবারিক ছুটি কাটয়ে ফেরার কয়েকদিন পর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে কেরলে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি কে সুধাকরণ মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে বলেছেন, “কেন তিনি (বিজয়ন) রাজ্য থেকে এভাবে পালিয়ে যাচ্ছেন? বিদেশ সফরের জন্য টাকা কোথা থেকে আসছে? এটা কি সরকারি টাকা নাকি স্পনসরশিপ?অপর দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে সুরেন্দ্রন বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর সফরের জন্য বিপূল টাকা কোথা থেকে আসছে তা জানার অধিকার জনগণের রয়েছে'। সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বা পার্টির রাজ্য সম্পাদক এম ভি গোবিন্দন কি বলতে পারবেন বিজয়ন কোথায় গিয়েছেন?"
বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি মুরালীধরনও এই বিষয়ে মন্তব্য করে বলেছেন এই সফর সিপিআই(এম) এর ভণ্ডামিকে প্রকাশ করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে বিজয়নের সফরের বিষয়ে সিএমওর কাছ থেকে মিডিয়ার কাছে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হবে না। অন্য কোনো মন্ত্রীর কাছে তিনি দায়িত্ব দেননি বলেও জানানো হয়'।
কর্মকর্তারা বলেছেন , "যখন তিনি মাসব্যাপী চিকিৎসার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব তার মন্ত্রিপরিষদের কোনো সহকর্মীর কাছে হস্তান্তর করা হয়নি," , সাপ্তাহিক মন্ত্রিসভা বৈঠকে সভাপতিত্ব করার দায়িত্বও কাউকে দেওয়া হয়নি"।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং এলডিএফের আহ্বায়ক জয়রাজন বলেছেন যে বিজয়নের সফর নিয়ম মেনেই করা হয়েছে। "তিনি দল এবং সরকারকে সফর সম্পর্কে অবহিত করেছেন,"। দেশের অন্য কোথাও বাম প্রার্থীদের প্রচারণায় বিজয়নের অনুপস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, "আমরা (দল) সিদ্ধান্ত নেব কোন নেতা কোথায় যাবেন এবং কথা বলবেন।"
বিজয়ন কেরলে কংগ্রেস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে বামপন্থীদের প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, রাজ্যের বাইরে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে কোন প্রচার করেননি। কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি টি সিদ্দিক বলেছেন, “এই নির্বাচনে সিপিআই(এম) এর এজেন্ডা ছিল রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কথা বলা। কেরলে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরে, সমস্ত সিপিআই(এম) নেতারা বিশ্রাম নিচ্ছেন। বিজয়ন বিদেশ সফরে গেছেন। কেন তারা ইন্ডিয়া জোটের হয়ে প্রচারে অন্য রাজ্যে যায় না? তাদের অনীহা থেকে স্পষ্ট সিপিআই(এম) এর উদ্বেগ কেরলের মধ্যে সীমাবদ্ধ এবং লক্ষ্য কংগ্রেসকে পরাজিত করা।”