চিটফান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতি এবং ক্ষমতায় আসলে বিপুল কর্মসংস্থানের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বামফ্রন্টের একুশের নির্বাচনী ইস্তেহারে। সংযুক্ত মোর্চার অংশ বামেরা শনিবারই প্রকাশ করেছে তাদের ইস্তেহার। আর সেখানে বিজেপি বিরোধিতায় কৃষক আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যেমন কৃষি গুরুত্ব পেয়েছে, তেমনই শিল্পও জায়গা করে নিয়েছে। এছাড়াও রয়েছে এনআরসি-সিএএ বিরোধিতাও।
রাজ্যে যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়মিত এবং স্বচ্ছভাবে করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বামেদের এই ইস্তেহারে। তবে নন্দীগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়েই এবারের চিন্তাভাবনা রাখা হয়েছে বলেই জানান হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকের পরে বিমান বসু পরে বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন সরকারে ছিলাম। সরকার চালানোর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মনে হয়েছে, জমি অধিগ্রহণে সতর্ক হওয়া দরকার।"
বামেদের ইস্তেহারে বলা হয়েছে, শিল্পের জন্য যখন প্রয়োজন পড়বে তখন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে জমি অধিগ্রহণ হবে। দুটি পক্ষ সহমত হলেই তা হবে। তারা রাজ্যে আইটি থেকে বায়োটেকনোলজি, কৃষি নির্ভর শিল্পের কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও ইলেকট্রনিকস, অটোমোবাইল, পেট্রো কেমিক্যাল, বিদ্যুৎ, সিমেন্ট, পোশাক , চামড়া শিল্প রাজ্যে গড়ে তোলার ও তার উন্নয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
এবার ইস্তেহার প্রকাশ করার আগে একটি ডিজিটাল খসড়া ইস্তেহার প্রকাশ করেছিল সিপিএম। সেখানে রাজ্যবাসীকে মতামত প্রকাশের সুযোগও দেওয়া হয়েছিল। এরপরই শনিবার ইস্তেহার প্রকাশ করে তারা। বামেদের ইস্তেহারে ধর্মনিরপেক্ষতা যেমন স্থান করে নিয়েছে, তেমনই সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষায় সিএএ ও এনআরসি বিরোধিতাও করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন