নন্দীগ্রামে চূড়ান্ত নাটক। ফল ঘোষণা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জয়ী ঘোষণা করে পরে আবার কমিশন জানাল, নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ১৬২২ ভোটে জিতেছেন দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিকে, কেন এমনটা হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। নন্দীগ্রামে শেষ বেলায় এই পটপরিবর্তনের জেরে বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সুপ্রিমো। ভোট লুঠের অভিযোগে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি মমতার।
এদিন কালীঘাটে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বার্তা রাখছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিরাট জয়ের জন্য তিনি বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানান। কিন্তু তখনই খবর আসে, শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন নন্দীগ্রামে তিনিই জিতেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬২২ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, মমতা প্রথমে বলেন, "কনফিউশন কিছু নেই। যাঁরা ২২১টাতে জেতে তাঁদের একটা নিয়ে কনফিউশন থাকে না। আমি নন্দীগ্রামে যা হয়েছে মেনে নিচ্ছি। ভগবান যা করে মঙ্গলের জন্যই করে। আমাকেও কষ্ট করে এত দূরে বার বার যেত হত। কিন্তু আমি আদালতে যাব, ভোট লুঠ হয়েছে।"
নন্দীগ্রামে প্রথমে সার্ভার ডাউন থাকার কারণে গণনা বেশ ধীরে চলছিল। বিকেলের দিকে এএনআই সূত্রে জানা যায়, শেষ রাউন্ডের পর ১২০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা। হেরেছেন শুভেন্দু। এরপর কয়েক ঘণ্টা পর জানা যায়, দিদি নয়, দাদা জিতেছেন নন্দীগ্রামে। মমতার অভিযোগ, গোটা রাজ্যে এক ফল হল আর নন্দীগ্রামে আলাদা হল কী করে! কোনও কারচুপি হয়েছে। নন্দীগ্রামে পুনগণনার দাবি জানাবে দল। বিজেপি ওখানে গুন্ডামি করেছে, ভোট করতে দেয়নি, এজেন্ট বসতে দেয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরে সব জিতলাম, আর নন্দীগ্রামে জয় এলো না? এটা হতে পারে? ইভিএমে কারচুপি হয়েছে।